কাতারে বাংলাদেশিদের শঙ্কা!

সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হলেও, কাতারেও রয়েছে বহু বাংলাদেশি। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর দেশটি এখন নানামুখী কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপের মুখে পড়েছে।

কাতারে কাজ করছে প্রায় তিন লাখের মতো বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে শঙ্কা-বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যে কাতার বাংলাদেশি বিশেষ করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠাবে কি না।

কাতারের রাজধানী দোহায় থাকেন বাংলাদেশি কর্মী কাজী মোহাম্মদ শামীম। তিনি বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিক যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে পুরোপুরি ভীতি তৈরি হয়ে গেছে আজকে থেকে। এর পাশাপাশি বেশ কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

গুজব টা কী?

তিনি বলছিলেন, বাংলাদেশিরা কাতারে থাকতে পারবেন না চলে যেতে হবে-এমন একটা ভীতি কাজ করছে।

সৌদি এবং দুবাই সরকার লোকজন নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। তাই বাংলাদেশিদের মধ্যে কানাঘুষা চলছে। হয়তো বা বাংলাদেশিদের পাঠিয়ে দেবে কাতার। শ্রমিকরা ভয় পাচ্ছে এত টাকা খরচ করে এসেছে এখন ফেরত পাঠালে পরিবার নিয়ে দেশে বিপদে পড়বে সবাই।

দুজন নির্মাণ শ্রমিক জানিয়েছেন তাদের বলে দেওয়া হয়েছে আজ বুধবার (৭ মে) থেকে যেন তারা কাজে না যায়।

কাজী মোহাম্মদ শামীম যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখানকার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, তাদের পণ্য আসে দুবাই থেকে। সেটা এখন বন্ধ আছে। তাই তার কফিল (নিয়োগদাতা) বলে দিয়েছেন ‘যদি এমন চলতে থাকে এবং স্টক শেষ হয়ে যায় তাহলে স্টোর বন্ধ করে দিতে হবে এবং তোমাকে চলে যেতে হবে। পরে যদি ভালো ফলাফল আসে তখন দেখা যাবে।’

খাদ্যের দাম বেড়েছে

এই সংকট শুরু হওয়ার পর সেখানে অনেক মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনতে শুরু করায় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সৌদি আরব এবং দুবাই থেকে পণ্য নিয়ে মূলত কাতার ব্যবসা-বাণিজ্য করে।

সৌদি বর্ডার দিয়ে খাদ্য আসত কাতারে, সেটা বন্ধ হওয়ার পর অনেকেই সুপার স্টোরগুলোতে খাদ্য মজুদ করা শুরু করেছে। খাদ্য সংকট এখনো শুরু না হলেও একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি চলছে।

শামীম বলছেন, গতকাল সকালে আলু কেজিপ্রতি তিনি সাড়ে তিন রিয়াল দিয়ে কিনেছেন কিন্তু বিকেলে সে দাম বেড়ে হয়েছে পাঁচ রিয়াল।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

আজকের বাজার : এলকে /এলকে ৭ জুন ২০১৭