কাবুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত ২৯

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি সরকারি ভবনে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত ও ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

সোমবার বিকালে দেশটির গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সামনে একটি গাড়িতে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপরই বন্দুকধারীদের হামলা শুরু হয়।

তিনজন বন্দুকধারী প্রতিবন্ধী ও শহীদ পরিবার বিষয়ক জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভবনে হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের জিম্মি করে ও আফগান সৈন্যদের সঙ্গে বন্দুক লড়াইয়ে লিপ্ত হয়।

প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চলার পর রাতে তিন বন্দুকধারী নিহত হওয়ার মাধ্যমে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির অসবান হয়।

তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে জানিয়ে অভ্যন্তরীণ (স্বরাষ্ট্র) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব ড্যানিশ বলেন, পুলিশ ধোয়াচ্ছন্ন ভবনে এখনো উদ্ধার অভিযাচন পরিচালনা করছে।

কর্মকর্তারা জানান, বন্দুকধারীদের হামলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভবনে অবরুদ্ধ অনেকেই ব্যারিকেড অতিক্রম করে বাইরে আসতে সক্ষম হয় এবং পুলিশ ৩৫৭ জনকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ ও বন্দুকধারীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় অন্তত পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়।

ঘটনার শুরুতে পুলিশ দ্রুত ভবনটিকে চারদিক দিয়ে ঘেরাও করে ফেলে জানিয়ে ড্যানিশ বলেন, কিন্তু পুলিশের এ অপারেশনটি ছিল অনেক ধীরগতির। কারণ তারা প্রত্যেকটি ফ্লোরে একটির পর একটি কক্ষে অভিযান চালাচ্ছিলেন।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র বশির মুজাহিদ বলেন, কর্তৃপক্ষ ভবনের ভেতরে থাকা কর্মচারী/কর্মকর্তাদের থেকে একটি ফোনকল পেযেছিলেন। কিন্তু ভীত-সন্ত্রস্ত ওই কর্মচারী/কর্মকর্তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি।

এখন পর্যন্ত কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও দেশটির দুই জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান ও ইসলামিক স্টেট অধিভুক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী কাবুলে এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ