কার্ড তুলে দেয়া হলো ১৬৪ সিআইপি’র হাতে

রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃত্বে থাকায় ১৬৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি মনোনীত করে সরকার। ২০১৪ সালে রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১২৫ জন ও পদাধিকার বলে এফবিসিসিআইর ৩৩ জন পরিচালক সিআইপি মর্যাদা পান।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তা) ও রপ্তানি খাতে অবদান রাখার জন্য সিআইপি (ট্রেড)-২০১৪ কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বসু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। দরিদ্রতম দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আর আজকে তারাই বলছেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। আর বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসেবে অভিহিত করছেন তারা। তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪৮ মিলিয়ন। এখন বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৫ বিলিয়ন। আর সেবা খাত মিলিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৮ বিলিয়ন। তবে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের দাম কম। এ দাম বেশি হলে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ আরও বেশি হত। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বাজেটের আকার ছিল ৭৮৭ কোটি টাকা। আর ভেতর ৯০ শতাংশই ছিল বিদেশি সাহায্য নির্ভর। আর আজ বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আর এ সাফল্যে ব্যবসায়ীরাও সমান অংশীদার।
তৈরি পোশাক খাতে ওভেন ক্যাটাগরিতে সিআইপি মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের এমডি এ. কে. আজাদ। এই ক্যাটাগরিতে অন্যরা হলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম মুর্শেদী, আতিকুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, শরীফ জহীর, আরশাদ জামাল, আলী আজিম খান, মুজিবুর রহমান, মেজবাহউদ্দিন খান, আজিজুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম খান, কাজী এ এফ এম জয়নুল আবেদিন, ফেরদৌস পারভেজ বিভন, ইতেমাদ উদ দৌলাহ, ওয়াসিম রহমান, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রির তানভীর আহমেদ ও এলিগেন্ট গ্রুপের তানভীর আহমেদ।
নিট ক্যাটাগরিতে সিআইপি মনোনীত হয়েছেন গোলাম মোস্তফা, স্যামুয়েল এস চৌধুরী, নাফিস সিকদার, গাওহার সিরাজ জামিল, মাসুদুজ্জামান, অমল পোদ্দার, নাজীম উদ্দিন আহমেদ, মো. শামসুজ্জামান, মো. আসাদুল ইসলাম, মহিউদ্দিন ফারুকী, নাবিল উদ দৌলাহ, জয়নাল আবেদীন মোল্লা, রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন, আসিফ আশরাফ, আসিফ মঈন, আবদুস সোবহান, আবদুল কাদির মোল্লা, আসিফ ইব্রাহিম, মো. মশিউর রহমান চমক, এম এ সবুর, এফ এম কবির মহিউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, প্রীতি পোদ্দার, সাফিনা রহমান, নুরুল আলম চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, রানা শফিউল্লাহ, রাকিবুল কবির, এম ডি এম জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, খলিলুর রহমান, সুলতানা জাহান, শাহরিয়ার আহমেদ, এ বি এম সামসুদ্দিন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খান এবং বস্ত্র খাতে কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ জাবের ও আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জুবায়ের।
কাঁচাপাট পণ্য খাতে সিআইপি হয়েছেন হাসান আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান, পাটদ্রব্যে শেখ নাসির উদ্দিন, নাজমুল হক ও মাহমুদুল হক, মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ শাহজাহান। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে মো. আবদুল মাজেদ, শেখ মোমিন উদ্দিন, মো. টিপু সুলতান, মো. শামসুর রহমান, অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, জয়নাল আবেদিন মজুমদার, শেখ মোমিন উদ্দিন ও মো. নাজমুল হাসান। হিমায়িত খাদ্যে আবদুল জব্বার মোল্লা, মো. মুছা মিয়া, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. রেজাউল হক, মো. আমিন উল্লাহ, ইয়াসমিন খান, কাজী সাদ্দাম শাহনেওয়াজ প্রিন্স, এস এম আমজাদ হোসেন, এস এম মিজানুর রহমান, আবুল হোসেন, শ্যামল দাস, মো. মাসুদুর রহমান ও মিয়া মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
কৃষিজাত পণ্যে সিআইপির তালিকায় রয়েছেন অঞ্জন চৌধুরী, মোহাম্মদ মনসুর, গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, গকুল চন্দ্র সাহা, ড. শেখ আবদুল কাদের, মো. রফিকুল ইসলাম (লিটন), আবদুল মোতালেব ও আহসান খান চৌধুরী। ওষুধ শিল্প খাতে আবদুল মুক্তাদির, হস্তশিল্পজাত পণ্যে সফিকুল আলম সেলিম, বার্থা গীতি বাড়ৈ ও গোলাম আহসান সিআইপি হয়েছেন। সিরামিকে বিলাল মামুন ও আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী এবং প্লাস্টিক পণ্যে রবীন্দ্রনাথ পাল ও জসিম উদ্দিন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
সিআইপি তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন কম্পিউটার সফটওয়্যার, সেবা ও ডাটা প্রসেসিং খাতে এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম, রেজওয়ান রহমান এবং বিবিধ খাতে মীর নাসির হোসেন, মো. মোশারফ হোসেন, মির্জা সালমান ইস্পাহানি, আবদুল মজিদ ম-ল, কে এম রেজাউল হাসানাত, মোহাম্মদ হাসান ইমাম, কামাল উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মো. পারভেজ রহমান, মো. মনির হোসেন, আমীর আলী হোসাইন, প্রকাশ রঞ্জন দাসগুপ্ত, মোহাম্মদ হেলাল মিয়া, মো. শাহ সুজা মিল্লাত, আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, নুর-ই ইয়াছমিন ফাতেমা, আবদুছ ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. আবদুল আউয়াল, মো. তানভীর খান ও মোহাম্মদ আনিসুর রাজ্জাক।
এফবিসিসিআই পরিচালক হিসেবে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, কে এম সেলিম ওসমান এমপি, মো. আমিনুল হক (শামীম), মো. রেজাউল করিম রেজনু, মো. মমতাজ উদ্দিন, প্রবীর কুমার সাহা, এ কে এম শাহিদ রেজা, মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাফকাত হায়দার, আনোয়ার হোসেন, আবু মোতালেব, ওবায়দুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, এম এ মোমেন, মো. হারুন-অর-রশীদ, কে এম আখতারুজ্জামান, শাহেদুল ইসলাম হেলাল, আসিফ ইব্রাহীম, এম এ সালাম, মোহাম্মদ আলী সরকার, আমিনুল হক, সালাহ উদ্দিন আলী আহমেদ, গোলাম মঈনুদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাব্বত উল্যাহ, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, কে এম জামান, জাহাঙ্গীর আলামিন, কাজী শাহনেওয়াজ, নাজমুল হক, আবদুল মোক্তাদির ও মো. শাহজালাল মজুমদার সিআইপি হয়েছেন।
সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসায়-সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসায়-সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্নিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ করে ‘লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন’ ইস্যু করবে। সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
আজকের বাজার : সালি / ০৫ নভেম্বর ২০১৭