কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ঘর প্রদান

ঘরহারা বৃদ্ধ চাঁন মিয়া ও মনোয়ারা বেগম দম্পতি এবং স্বপনকে দু’টি নতুন ঘর উপহার দিয়েছেন নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রসাশন। নতুন ঘর পেয়ে  উৎফুল্ল ওই দুই পরিবার। বৃদ্ধ চাঁন মিয়া, মনোয়ারা বেগম দম্পতি ও স্বপনকে টিন সেডের পৃথক দু’টি নতুন ঘর হস্তান্তর করে দেয়া হয়। কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হওয়া বগি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবার। নাঙ্গলকোটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন নতুন ঘর করে দেওয়ার বিষয়টি বাসসকে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ১৭ মার্চ দুপুরে উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের  তেজের বাজার শিহর গ্রামের চাঁন মিয়া ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম নিজ ঘরের পাশে বসে কাজ করছেন। এমন সময় হঠাৎ বিকট শব্দে ট্রেনের একটি বগি ছিটকে এসে ঘরের ওপর পড়ে ঘর ভেঙে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী স্বপন মিয়ার ঘরেও একটি বগি পড়ে বসত ঘরটি তছনছ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসমাইল হোসেন তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদেরকে নতুন ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই অনুযায়ী পৃথক দু’টি টিন সেডের ঘর বুঝিয়ে দেয় ওই দুই পরিবারকে। নতুন ঘর পেয়ে মনোয়ারা বেগম বাসসকে বলেন, আমি নতুন ঘর পেয়ে আনন্দিত। আল্লাহ যেন নির্বাহী অফিসার-সহ তার পরিবারের  সবাইকে ভালো রাখে। স্বপন মিয়া বলেন, নতুন ঘর করার মত আমার তেমন কোন সামর্থ্য নেই, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এ ঘরটি উপহার দেয়ার জন্য। এ ব্যপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসমাইল হোসেন বাসসকে বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত বগি  চাঁন মিয়া ও মনোয়ারা  দম্পতি এবং স্বপন মিয়ার বসত ঘরের উপর পড়ে তাদের ঘর গুলো ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক তাদের সঙ্গে কথা বলে দু’টি পরিবারকে ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেই। সেই অনুযায়ী দু’টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি এবং আর্থিক প্রণোদনাসহ ১০টি হাঁস, ১০টি মুরগি এবং দুটি ছাগল কিনে দেওয়া হয়েছে। (বাসস)