‘কৌশলগত কারণেই নিরব রয়েছে দুদক’

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘কৌশলগত কারণেই দুদক নিরব হয়ে রয়েছে। যুদ্ধে পশ্চাদপসরণ করা যেমন যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল, কখনও কখনও দুর্নীতপরায়ণদের গতিবিধি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কমিশনকেও কখনও কখনও কৌশলগত কারণেই পশ্চাদপসরণ করতে হয়। এটি একটি কৌশল মাত্র। আর কিছুই নয়।’

রোববার সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিসের প্রতিনিধি সার্জে ক্যাপিনোজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, আমরা দু’দেশের দেশের দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও উত্তম চর্চার বিকাশসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

ইকবাল মাহমুদ  বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ওভারসাইট মেকানিজম থাকা উচিত। দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিংয়ের জন্য একটি কার্যকর ফ্রেমওয়ার্ক থাকতে পারে।

তিনি বলেন, যদিও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিটি কার্যক্রমই আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে এবং পাশাপাশি কমিশনের সব কার্যক্রম বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়। ওই বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনায় আইনি সুযোগও রয়েছে।

সার্জে ক্যাপিনোজ তার বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতি পৃথিবীর সর্বত্রই রয়েছে তবে পার্থক্য রয়েছে এর তীব্রতা এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, সততা সংঘ বা সততা স্টোরের কার্যক্রম সত্যিই উত্তম। তবে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, পরিবার ও পদ্ধতিই বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) অফিস স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রশংসা করেন ক্যাপিনোজ।

এমআর/