খুলনায় ঠান্ডাজনিত রোগে ২ জনের মৃত্যু

খুলনার পাইকগাছায় ঠান্ডাজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা অধিকাংশ রোগী সর্দি, কার্শি, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যাথার চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এসব রোগের পর্যাপ্ত ওষুধের সরবরাহ না থাকায় রোগীরা বিভিন্ন সংকটে ভুগছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সঞ্জয় কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, যারা আসছেন তারা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আসছেন।

বহির্বিভাগের চাহিদা অনুয়ায়ী কাশির সিরাপ ও শ্বাসকষ্টের পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নেই জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাফিকুল ইসলাম শিকদার জানান, বৃহস্পতিবার ঠান্ডার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (হার্ট এ্যাটাকে) হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে বেশী ছিল ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

এদিকে শুক্রবার সকাল পেরিয়ে দুপুরেও কাটেনি কুয়াশার চাদর। এর আগের দুই দিনেও রূপসা ও ভৈরব পাড়ের এ জনপদে সূর্যের দেখা মেলেনি। তীব্র শীতে বেকায়দায় পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তবে, শীতের প্রকোপ বাড়ায় নগরীতে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি।

খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণ ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। শুক্রবার ভোর থেকে কুয়াশা ও মেঘের কারণে সূর্যের দেখা মিলেনি।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার পাইকগাছা, দাকোপ, তেরখাদা ও ডুমুরিয়া এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এখানকার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদরা জানান, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ