খুলনা প্রিন্টিংয়ের দর বাড়ার কারন নেই

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দর বাড়ার কারন নেই।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের চিঠির প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য নেই। ডিএসই সুত্রে জানা গেছে।
বুধবার খুলনা প্রিন্টিংযের শেয়ার দর ২২টাকা ২০পয়সা থেকে ২৩টাকা ২০পয়সা পর্যন্ত দরে হাতবদল হতে দেখাগেছে।যেখানে জেড ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ারের দর গত এক মাস আগেও সর্বনিম্ন ছিল ১৭ টাকা ।
এদিকে সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী খুলনা প্রিন্টিংয়ের ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে ‘ট্রিপল বি’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০১৭ সালের ৩০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর)।
এর আগে এনবিআরের সঙ্গে দ্বন্দের কারণে ২০১৫ সালের শুরু থেকেই কাঁচামাল আমদানি করতে পারেনি না কেপিপিএল। প্রায় দুই বছর স্থানীয় কোম্পানি থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে কারখানা চালু রাখলেও পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়ে খুলনা পেপার। ফলে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, কোম্পানিটির উত্পাদন শুরুর জন্য বন্ড লাইসেন্স থেকে শুরু করে সব ধরনের সমর্থক সুবিধা পুনর্বহাল করেছে কর ও শুল্ক নিয়ন্ত্রকরা। নির্বিঘ্ন কাঁচামাল সরবরাহের সুযোগ পাওয়ার পর আবারো কারখানায় বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেপিপিএল এর পরিচালনা পর্ষদ।

বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের উপাত্ত অনুসারে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত মুনাফায় থাকলেও উত্পাদন বন্ধ করে দেয়ার পর ২০১৭ হিসাব বছরেই লোকসান দেখায় কেপিপিএল। সর্বশেষ ২০১৫ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেবছর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কেপিপিএল। সে বছর ইপিএস হয় ৩৩ পয়সা। এরপর ২০১৭ হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১ টাকা ২২ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কেপিপিএলের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৭ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৭৬ পয়সা।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে আসে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। রিজার্ভ ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং বাকি ৫০ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
জাকির/আজকের বাজার