‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক বিএনপির

বর্তমান ‘স্বৈরাচারী সরকারকে’ সরিয়ে জনগণের শাসন এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ করার জন্য বৃহত্তর ঐক্য গড়তে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় সিনিয়র নেতারা অংশগ্রহণমূলক ও অর্থবহ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের কাছে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর বিরুদ্ধে থাকা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তির দাবি জানান।

বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি সর্বস্তরের জনগণ, সব গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ও দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করি।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে একটি জাতীয় ঐক্য হবে। যারা জাতীয় ঐক্য গড়ার কাজ করছেন তাদের স্বাগত জানাই। স্বৈরাচারী সরকারকে পরাজিত করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আমরা তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

ফখরুল আরো বলেন, গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য দলের কিছু দাবি পুনরায় তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অবশ্যই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

সেই সাথে তিনি সেনাবাহিনীকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানান।

ফখরুলের অভিযোগ, সরকারের সাথে জনগণ না থাকায় তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে নানা পরিকল্পনা করছে। জনগণ তাদের রক্ষা করবে না বলে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে তারা এখন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা করছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করেছে এবং এটি এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ