গোপালগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ৩ দিন ধরে পাঠদান বন্ধ

প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে গোপালগঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনদিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে গত শনিবার থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসির হায়দার নামে একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুলটিতে যোগদেন ফাতেমা খাতুন। এরপর থেকে তিনি স্কুল সংস্কার, শিক্ষা উপকরণ ক্রয়সহ সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।

এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ এনে ওই অভিভাবক বলেন, তার স্বেচ্ছাচারী ও আগ্রাসী আচরণে অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়েই তাদের সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করেছেন।

স্কুলের দাতা সদস্য আব্দুল আহাদ জমাদ্দার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের কারণেই স্কুলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।’

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট স্কুলের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও রেজাউল করিম জানান, ‘স্থানীয়দের সাথে স্কুলের আয়-ব্যয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘স্থানীয়দের সাথে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করছি ‘

পরে কথা বলার এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ফাতেমা মোবাইল ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি আর মোবাইল ফো্ন রিসিভ করেননি।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, স্কুলের শ্রেণি পাঠদান শুরু করতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরুর ব্যবস্থা করা হবে। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ