গোপালগঞ্জ বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় অর্ধ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

গোপালগঞ্জ বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৫০ লাখ টাকার পণ্য বেচা-কেনা হয়েছে।মেলার ৩০টি স্টলে ১০ দিনে  ৪৯ লাখ ৩১ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে  বিসিক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের এজিএম মোঃ হাবিবুর রহমান রাসেল জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ১০ দিনের বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় নগদ ৪৯ লাখ ৩১ হাজার টাকার  পণ্য বিক্রি হয়েছে। এছাড়া অন লাইনে ও অফ আইনে উদ্যোক্তারা এ মেলা থেকে ২১ লাখ ৫০ টাকার পণ্য সরবরাহের অর্ডার পেয়েছেন।  গোপালগঞ্জ বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৭০ লাখ ৮১ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতে পেরে উদ্যোক্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ বছর মেলায় আমরা উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও উদ্যোক্তা হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে  ভালো সাড়া পেয়েছি।আগামী বছরও আমরা এ মেলার আয়োজন করব।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শহরের পৌরপার্কে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মেলার আয়োজন করি। এ মেলায় পাটজাত, চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, হ্যান্ডিক্রাফটস্, মৃৎশিল্প, কসমেটিক্স, গৃহস্থালী পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং অন্যান্য সেক্টরের স্বদেশী পণ্যের সমাহার ঘটে।১৭ ফেব্রুয়রি (শনিবার)রাতে মেলা সমাপ্ত হয়েছে।
শনিবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম । বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ এ কে এম শাহীদুল ইসলাম চৌধূরী  ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন।এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়েরে এজিএম মোঃ হাবিবুর রহমান রাসেল  ।
পরে শ্রেষ্ঠ স্টলের উদ্যোক্তাদের মধ্যে পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারী সব স্টলের সত্ত্বাধিকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
বিসিক উদ্যোক্তা পলাশ বলেন, আমার স্টলে সবসময় কাস্টমারের ভিড় লেগেই থাকত। আমি এ মেলায় ভালো বিক্রি করেছি। এ বেচাকেনায় আমি খুবই খুশি।এছাড়া অন লাইনেও ভালো অর্ডার পেয়েছি।অনেকে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব । সেই সাথে সব ধরণের সহযোগিতা করে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে সৃষ্টি করতে পারব।
উদ্যোক্তা আলেয়া বেগম বলেন, আমি এ মেলা থেকে গত ১০ দিনে ৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছি।মেলায় ভালো সাড়া পেয়েছি ।১০ দিনের মেলায় ২টি শুক্র ও শনিবার পেয়েছি। সেই সাথে ভালবাসা দিবস ছিল। এ জন্য কেনাবেচা ভা লো হয়েছে। এছাড়া মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনই মেলা প্রাঙ্গন জমজমাট থাকত।
উদ্যোক্তা দেবু পাল বলেন, মেলায় আমাদের মৃৎশিল্পেরও ভাল বেচা কেনা হয়েছে।এছাড়া ভালো অর্ডারও পেয়েছি। প্রতিবছর এ ধরণের আয়োজন করা হলে আমাদের মৃৎশিল্পের পুর্ণজাগরণ ঘটবে।
উল্লেখ্য দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উদ্যোক্তা (সিএমএসএমই)উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, ক্রয়-বিক্রয়, বাজারজাত করণ ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জে বিসিক উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়। (বাসস)