ঘরের মাঠে জয়ের রেকর্ড লিভারপুলের

এপ্রিল, ২০১৭। অ্যানফিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। এরপর নিজেদের মাঠে ৪৪টি ম্যাচ খেলেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল, হারেনি একবারও। টটেহাম হটস্পারের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ১০ ম্যাচে চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির সবচেয়ে বেশি পয়েন্টের (২৮) রেকর্ড ভাগ বসানোর সুযোগ এসেছিল তাদের। হ্যারি কেইনের গোলে পিছিয়ে পড়লেও মোহামেদ সালাহ এবং জর্ডান হেন্ডারসনের গোলে স্পার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্লপের দল, ভাগ বসিয়েছে রেকর্ডে। অ্যানফিল্ডে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা ৪৫-এ নিয়ে গেল ‘অল রেড’রা।

অ্যানফিল্ডে অবশ্য প্রথমার্ধ শেষে হারের আশঙ্কাই জেঁকে ধরেছিল লিভারপুলকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচের প্রথম মিনিটেই লিড নেয় স্পার্স। মাঝমাঠে লিভারপুলের তিনজনকে কাটিয়ে বাঁ-প্রান্তে হিউঙ-মিন সনকে পাস বাড়ান মুসা সিসোকো। সনের শট লিভারপুল রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের মাথায় লেগে প্রতিহত হয় ক্রসবারে, ফিরতি বলে হেড করে অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করেন কেইন। শুরুতেই গোল দিয়ে লিভারপুলকে আরও চেপে ধরে স্পার্স। কিছুক্ষণ বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত স্পার্স।

প্রথমার্ধে লিভারপুলের অন্তত চারটি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। সালাহ, আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে দুর্দান্ত ডাবল সেভে খালি হাতে ফেরানোর পর মানের বাঁকানো শটও হাওয়ায় ভেসে রুখে দেন তিনি। ক্লাব অধিনায়ক হুগো লরিসের জায়গায় সুযোগ পেয়েই নিজেকে চেনাচ্ছেন গাৎজানিগা। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সব সেভের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত স্পার্স।

দ্বিতীয়ার্ধের বাকিটা সময় সহজ সুযোগ হাতছাড়ার চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে স্পার্সকে, হাল না ছাড়া লিভারপুলকে দ্বিতীয়ার্ধে আর ফেরাতে পারেননি গাৎজানিগাও। শুরুটা করেছিলেন অধিনায়ক হেন্ডারসন। ফাবিনহোর লম্বা পাসে বাঁ-পায়ের মাপা শটে চার বছর পর অ্যানফিল্ডে জাল খুঁজে পান তিনি। হেন্ডারসনের গোলের পরই স্বরূপে ফেরা লিভারপুলের বিপক্ষে আর সুযোগ পায়নি স্পার্স। মাউরিসিও পচেত্তিনোর দলকে চেপে ধরা লিভারপুলকে লিড এনে দেন সালাহ।

দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন সালাহ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সংগ্রামী জয়ে ম্যানস সিটির চেয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল লিভারপুল। শেষ যে তিনবার ১০ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট ছিল প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর (চেলসি ২০০৫-০৬, ম্যান সিটি ২০১১-১২ এবং ২০১৭-১৮); প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ক্লপের দল কি পারবে প্রিমিয়ার লিগের গেরো কাটাতে?