চট্টগ্রামে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম মহানগরীতে চিকিৎসকের অবহেলায় হাজী মোহাম্মদ লোকমান চৌধুরী (৬৯ নামের এক রোগীর মুতু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতের স্বজনরা লোকমানের চিকিৎসাধীন ওই ক্লিনিকের ভেতর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভও করেছেন।

স্বজনরা দাবি করেছেন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর এ ঘটনার সমাধানে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক টাকা দেয়ারও প্রস্তাব করেছেন। পরে তিনি স্বজনদের বিক্ষোভের মুখে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) মধ্যরাতে নগরীর পাচঁলাইশ থানার মক্কি মসজিদের সামনে অবস্থিত শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনের নবম তলায় ফরট্রিস নামক বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।

ক্লিনিকে মৃত্যুর শিকার লোকমান চৌধুরী নগরীর চাঁদগাও থানার সাবানঘাটা এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রায় একমাস শ্বাসকষ্টজনিত রোগে এ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যাবার পরপরই ক্লিনিকে থাকা ডাক্তার শিমুল কুমার ভৌমিককে আটকানোর চেষ্টা করেন নিহত লোকমানের সন্তানরা। পরে ডাক্তার শিমুল কুমার কৌশলে পালিয়ে যান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাত পর্যন্ত ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারী ও নিহতের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঘটনাস্থলে থাকা পাঁচলাইশ থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, চিকিৎসকদের অবহেলায় একজন বয়স্ক রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

নিহত হাজী মোহাম্মদ লোকমানের ছেলে ফরহাদ উদ্দিন রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবার এ পরিস্থিতিতে মুখে মাক্স লাগিয়ে খাওয়ানো হয়। কিন্তু ডাক্তার শিমুল ভৌমিক মাক্স খুলে নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে থাকলে আমার বাবা আমার চোখের সামনে মারা যায়। মাক্স খুলে নেয়ার পর বাবার শ্বাস-প্রশ্বাস উঠানামা করতে থাকলে তিনি ইশারা দিয়ে মুখে মাক্স লাগাতে বলেন। এসময় ডিউটি ডাক্তারও বারবার মাক্স লাগাতে চাইলে ডাক্তার শিমুল ভৌমিক মাক্স লাগাতে না দিয়ে বলতে থাকেন আরেকটু দেখি, আরেকটু দেখি। এই করতে করতে আমার বাবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

নিহতের ছেলে আরও অভিযোগ করেন, ওই ডাক্তার তাদের টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন যা হবার হয়ে গেছে, আপনারা কিছু টাকা নিয়ে চলে যান। ছেলে ফরহাদ তার বাবার হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

আজকের বাজার/এমএইচ