চীনা পণ্য বয়কট করলে আরও বিপদে পড়বে ভারত

চীনা পণ্য বয়কট করলে আরও বিপদে পড়বে ভারত। কারণ অনেক জরুরি সেবায় বেইজিংয়ের ওপর নির্ভরশীল দিল্লি। এমন মত ভারতের বিশ্লেষকদের। লাদাখ ইস্যুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দেয়া অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতায় সংকট আরও বাড়বে। বলছেন চীনা বিশ্লেষকরা।

সোমবার কাশ্মীরের পুন্চ ও রাজৌরি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষিদের সাথে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের। এতে ভারতীয় জওয়ানের প্রাণহানিরও খবর দিয়েছে গণমাধ্যম। ২ দিন আগে, জম্মুর কাঠুয়া সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোন ভূপাতিত করে ভারত।

জম্মু ফ্রন্ট্রিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টার জেনারেল এনএস জামওয়াল বলেন, ‘পাকিস্তানের ঠাকুরপোড়া পোষ্ট থেকে একটি হেক্সা কপ্টার আমাদের সীমান্তে ঢুকে পড়ায় টহলরত বাহিনী সেটি ভূপাতিত করে। এ সময় বেশ কিছু বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়।’

এদিকে পুরোপুরি শান্ত হয়নি লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনাও। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা-এলএসিতে ৫ দশকের রীতি ভেঙে আগাসী ভূমিকায় মোদি সরকার। ভারতীয় সেনাদের প্রয়োজনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতদিন দিল্লি-বেইজিং চুক্তির আওতায় সীমান্তে কোনো পক্ষই একে অপরকে গুলি চালাতে পারতো না।

চীনের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিশ্লষক ভিক্টর গাও বলেন, ‘উপমহাদেশ ইংরেজ শাসনমুক্ত হওয়ার পর লাদাখ নিয়ে বিতর্কের শুরু। তবে ১৯৬২ সাল থেকে দুদেশের সীমান্তে কোনো অস্ত্রের ব্যবহারের নজির নেই। ভারত নতুন করে সীমান্ত ইস্যুতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আর ঘনীভূত হবে।’

চীন বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে ভারতজুড়ে। অবশ্য দেশটির বাজার বিশ্লেষক মনে করেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চীনা পণ্য বর্জন আন্দোলন বুমেরাং হবে।

ভারতের বিদেশি বাণিজ্য বিশ্লেষক বিশ্বজিৎ ধর বলেন, ‘চীনা পণ্য বর্জনের যে দাবি উঠেছে তা অযৌক্তিক। অনেক জরুরি সেবায় চীনের ওপর নির্ভরশীল ভারত। যা অন্য সব রপ্তানিপণ্য দিয়েও পূরণ সম্ভব নয়।’

লাদাখ ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের দুদিন পর এবার মোদিকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং ও রাহুল গান্ধী। রাহুলের অভিযোগ মোদি ভারতের ভূখণ্ড চীনের কাছে সমর্পণ করেছেন। আর মনমোহন বলছেন মোদির বক্তব্যে শত্রুপক্ষ লাভবান হবে।