ছয় মাসে ১৯৫ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার

২০১৮ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কাছে ১৯৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় ১৯টি ও জরুরি অনুরোধে ১৩০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ৪৪ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ফেসবুক প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় তারা জানায়, ফেসবুকের স্বচ্ছ থাকার স্বার্থে তারা ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশকে গুরুত্ব দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় সেটা উল্লেখ করা হয় না।

সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ফেসবুকের কাছে ১৪৯টি অনুরোধে ১৯৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় ১৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে আর ১৩০টি জরুরি অনুরোধে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়া হয়।

ফেসবুকের এবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের জরুরি অনুরোধের ক্ষেত্রে ৪৮ শতাংশ এবং আইনি অনুরোধে ১৬ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কী জানতে চাওয়া হয়েছিল বা সেই একাউন্টগুলো সম্পর্কে কী ধরনের তথ্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে তা রিপোর্টে বলা হয়নি।

ফেসবুক আরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এবার একটি কনটেন্ট বন্ধ করার অনুরোধও পেয়েছে তারা। অবৈধ ছদ্মবেশের অভিযোগে ওই ভিডিও নিয়ে অভিযোগ ওঠায় তা বাংলাদেশে দেখানো নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রতিবেদনে ফেসবুক আরও বলেছে, বাংলাদেশে জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২২ ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। এবার ৯টি দেশে ৫৬ বার ফেসবুক বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। বছরের প্রথমভাগে ৮টি দেশে ৪৮ বার ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছিল।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য পাওয়ার জন্য সরকারের অনুরোধ বৈশ্বিক পর্যায়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালের শেষ ছয় মাসের সরকারি অনুরোধের হিসাব প্রকাশ করে এবার ফেসবুক তাদের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ফেসবুকের ইনটিগ্রিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন বলেন, গত বছরের শেষ ছয় মাসে বৈশ্বিক পর্যায়ে সরকারি অনুরোধ ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৩৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে করা অনুরোধের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স সবার ওপরে। এ সময় স্থানীয় আইনি বাধ্যবাধকতায় কনটেন্ট দেখানো বন্ধ করার হার ১৩৫ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে কনটেন্ট বন্ধ করার অনুরোধ ১৫ হাজার ৩৩৭ থেকে ৩৫ হাজার ৯৭২টিতে দাঁড়িয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ