জয়পুরহাটে সরকারিভাবে ১৮ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ

জেলায় কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শীত মোকাবেলায় সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জয়পুরহাটের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

জেলায় শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। জয়পুরহাট গত দু’দিনে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ছিন্নমূল নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেড়েছে কমদামি কাড়রের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে।

রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে উপচে পড়া ভিড়। ২০ টাকা থেকে শুরু করে দুই’শ/ তিন’শ টাকা পর্যন্ত গরম কাপড় বিশেষ করে সুইটার, জ্যাকেট, মাফলার, নাক-কানবন্ধনি কেনা বেচা হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাপড় বিক্রি হচ্ছে বলে হকার্স মার্কেটের কাপড় বিক্রেতারা। অপরদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের দুর্যোগ, ত্রাণও পুনর্বাসন বিভাগ থেকে ১৮ হাজার ৫০০ শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বে সরকারি প্রতিষ্ঠান দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করছে। জাকস ফাউন্ডেশন অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী, প্রবীণদের মাঝে ৫ হাজার কম্বল, লালসবুজ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা ৫০০ কম্বল ও হুইল চেয়ার বিতরণ করেছে। জেলায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যেও দেখা নেই। ফলে শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

সাধারণ মানুষ উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে শীতের তীব্রতায়। শীতের তীব্রতায় আলুতে লেটব্রাইট নামক এক প্রকার সত্রাকের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ সত্রাকের আক্রমণ থেকে আলু ক্ষেতকে রক্ষা করার জন্য কৃষি বিভাগ কৃষক পর্যায়ে সতর্কতা মূলক লিফলেট বিতরণ করছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান