জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারির সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঢাকা মহানগর জাদুঘর রূপান্তর কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে সিদ্ধান্ত

জাতীয় জাদুঘরে গ্যালারির সংখ্যা বৃদ্ধি ও রোজ গার্ডেনের তিনতলা আবাসিক ভবনকে ‘ঢাকা মহানগর জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ একাদশ জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৩তম এক বৈঠকে এই কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনাক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংসদ ভবনের কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মমতাজ বেগম, আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফা ও শেরীফা কাদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া বৈঠকে রংপুরে বিভাগীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের অগ্রগতি- জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে অডিও গাইড ব্যবস্থা চালু এবং লাইট এন্ড সাউন্ড শো ব্যবস্থা চালুকরণের অগ্রগতি, ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নামক বিশেষায়িত আধুনিক জাদুঘর প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি, ভ্রাম্যমান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা চালুকরণের অগ্রগতি ও জাতীয় জাদুঘরের সবগুলো গ্যালারিকে ভার্চুয়াল গ্যালারিতে রূপান্তরের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়।

পূর্বের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহামূল্যবান নির্দশনসমূহ চুরি, হারানো বা নাশকতার ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে স্টোর, নিরাপত্তা চেকপোস্ট ইত্যাদি পদে আউটসোর্সিং জনবলের পরিবর্তে স্থায়ী পদে জনবল নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে খসড়া কমিটি তৈরি করে আগামী সভায় উপস্থাপন এবং শিল্পকলা একাডেমির ঢাকায় কর্মরত সাতজন কালচারাল অফিসারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকার বাইরে পদায়ন করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

এছাড়া, নীলফামারী জেলা সদরে অবস্থিত নীলকুঠি ভবনটি গেজেটভুক্তকরণ এবং কক্সবাজারে একটি ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর’ নির্মাণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি থেকে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জাতীয় চার নেতা এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকগণসহ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান