জাতীয়করণের দাবি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের

জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। জাতীয়করণের তৃতীয় ধাপে বঞ্চিত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই আন্দোলন করছেন। গত গত ২১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ের জন্য কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, জানা যায়, জাতীয়করণের তৃতীয় ধাপে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সে ঘোষণা অনুযায়ী এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয় ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয়। আন্দোলনকারীদের দাবি সকল শর্ত পুরণ করার পরও এই প্রতিষ্ঠানগুলো বঞ্চিত হয়েছে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এামুনুর রশিদ খোকন আজকের বাজারকে বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অথচ সব শর্ত পূরণ হওয়ার পরও আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়নি। বঞ্চিত করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয়কে।

তিনি আরো বলেন, শর্ত অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়নি। তালিকাভুক্ত থাকার পরও নানা কৌশলে আমাদের বাতিল করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেবো না। জাতীয়করণের জন্য রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় হওয়া না পর্যন্ত শিক্ষকরা রাস্তায় পড়ে থাকবেন।

২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫০ জন বিভিন্ন ক্লিনিকে এবং ৫৫ জন স্থানীয় মেডিকেলে আছেন।অসুস্থদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

আজকের বাজার : আরএম/এলকে ৩০ জানুয়ারি ২০১৮