ডরিন পাওয়ারের সাত কর্মকর্তাকে জরিমানা করেছে বিএসইসি

বিএসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের সাত কর্মকর্তাকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটেজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ইনসাইডার ট্রেডিং আইন না মানায় সাত কর্মকর্তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইনসাইডার ট্রেডিং রুলস, ১৯৯৫ লঙ্ঘন করায় কোম্পানিটির সিনিয়র জিএম মোহাম্মদ ফজলে এলাহি খান, জিএম ইকবাল হোসাইন, সহকারী জিএম ও কোম্পানি সচিব মাসুদুর রহমান ভূইয়া, স্বাধীন পরিচালক মাহতাব বিন আহমেদ ও সিএফও আফরোজ আলমকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া মিসেস চৌধুরী ফারাহ নাজ সামিয়া ও ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান খানকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে জানা যায়, লভ্যাংশ নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। সভায় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে বলে। হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৭-মার্চ, ২০১৮) ৬ টাকা ৯ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে কোম্পানিটি, আগের বছর একই সময় যা ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা।

৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৮ টাকা ৫৮ পয়সায়। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ডরিন পাওয়ার। তবে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা নগদ লভ্যাংশ নেন নি। গেল হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৭টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৪ পয়সা। ৩০ জুন এর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৫ টাকা ৯৬ পয়সায়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ডরিন পাওয়ার। বর্তমানে ডরিন পাওয়ারের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, রিজার্ভ ২০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৬৩ শতাংশই এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ১২ দশমিক ১৬ ও বাকি ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। জাকির/আজকের বাজার