ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে ফের রিট

নতুন সংযোজিত ওয়ার্ডের সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন না করেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ফের রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে নতুনভাবে ঘোষিত এই নির্বাচনের তফসিলের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিট আবেদনটি বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়েছে। আগামী রবিবার এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

রিটে বলা হয়েছে, এর আগেও ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। কিন্তু তদ্বিরের অভাবে ওই রিট আবেদন খারিজ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো নির্দেশনা নেই বা সীমানা নির্ধারণের যে জটিলতার কারণে রিট করা হয়েছিল, সেই সীমানা জটিলতার বিষয়ে হাইকোর্টের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। হাইকোর্টের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে যা সংবিধান ও সিটি করপোরেশন আইনের পরিপন্থী।

রিটে আরও বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। সেখানে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য উপনির্বাচনের কোনো বিধান নেই। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুনভাবে সংযোজিত ওয়ার্ডের সাধারণ বা সংরক্ষিত আসনের ভোটাররা মেয়র পদে ভোট দেয়নি। সে কারণে শুধু নতুনভাবে সংযোজিত ওইসব ওয়ার্ডের কেন ভোট হবে।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, রিটার্নিং অফিসার ও বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুর পর ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

গত বছরের ৯ জানুয়ারি ঘোষিত ওই তফসিল অনুযায়ী, গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি করে ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডেরও ভোট হওয়ার কথা ছিল। তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি উত্তর সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক দুটি রিট হয়। পরে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি রিট দুটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরপর ২২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন পৃথক দুটি তফসিল ঘোষণা করে। এ অবস্থায় কমিশনের তফসিলটি সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে আবারও রিট করা হলো।

আজকের বাজার/এমএইচ