‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ চেয়ে করা রিটের শুনানি রোববার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন আগে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বিষয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি আগামী রবিবার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটির ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

গত ১ অক্টোর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন আগে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে।

আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জাতীয় সংসদের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়েছে।

পাশাপাশি সে রুল নষ্পিত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিতে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও মামলার রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে অর্থাৎ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশ দেয়ার বিষয়ে রিটে আবেদন জানানো হয়েছে।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১১ ও ৬৫(২) অনুযায়ী প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান জাতীয় সংসদের ১৫৩ জন সংসদ সদস্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। তাই বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার নির্দেশনার আরজি জানিয়েছি।

তিনি জানান, নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভাঙিয়া না দিলে অনুচ্ছেদ ১২৩ (৩) অনুযায়ী দুইটি সংসদ হবে যাহা ৬৫, ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া সংসদ সদস্য পদে থেকে নির্বাচন করা সংবিধান পরিপন্থি, তাই সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন পূর্বে জাতীয় সংসদ ভাঙিয়া নতুন ভাবে ও আঙিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ