তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে: এ কে আজাদ

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ বলেছেন, আমার যা বক্তব্য ছিল দুদককে বলেছি। তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযোগের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।

মঙ্গলবার (২২ মে) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সংস্থাটির পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত ৯ মে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও বিদেশী ক্রেতার সাথে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা থাকার কারণ দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় হাজির হননি তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক আজাদকে ১০ দিনের সময় দিয়ে ফের আজ ২২ মে তলব করেছিল।

সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি আমার বক্তব্য দুদককে জানিয়েছি। এর সত্যতা তারা খতিয়ে দেখবে।

অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তদন্তাধীন বিষয়, মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

আজাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে ঘোষিত আয়ের বাইরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী এ কে আজাদের ফনিক্স টাওয়ারের কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান করেছিল দুদক। দুদকের হটলাইন ‘ওয়ান জিরো সিক্স’ নম্বরে এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন এই সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ আসলে দুদক পরিচালক যায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি টিম ফনিক্স টাওয়ারের অফিসে যান। প্রায় এক ঘণ্টা ফিনিক্স টাওয়ারে অবস্থান করে ব্যবসায়ী এ কে আজাদকে না পেয়ে তার অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চলে আসেন। এর পরপরই ওই অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

সূত্র জানায়, এ ছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রীতম হোটেলের পাশে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট, সিটি জরিপ দাগ নং ১৮১৬, ১৮১২ ও ১৮১৫ দাগের প্রায় ১৫ কাঠা জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে তার ওপর স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া ও মিথ্যা ব্যাংক নিলাম দলিল দেখিয়ে এ জমি জবরদখল করেছেন বলে জানা যায়। রমনা মৌজায় সিএস-১৮ এবং ১৯ দাগের রেকর্ডীয় মালিক কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট। সিটি জরিপ দাগ নম্বর ১৮১৬। জমির পরিমাণ ১৫ কাঠা।

আজকের বাজার/ এমএইচ