‘তারুণ্যের জয়োৎসবে’ মেতেছিল কুবির অনুপ্রাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরএকমাত্র আবৃত্তি সংগঠন অনুপ্রাস-কণ্ঠ চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও সংগঠনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তারুণ্যের জয়োৎসব’ শিরোনামের একটি আবৃত্তি অনুষ্ঠান।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, আবৃত্তির প্রতি মানুষের ভালোলাগা অন্য রকম। অনুপ্রাস আবৃত্তি চর্চার জন্য যে কাজ করে যাচ্ছে আমি তার সফলতা কামনা করছি। আমি বিশ্বাস করি একদিন টিকিট কেটে দর্শকরা অনুপ্রাসের আবৃত্তি শুনবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অনুপ্রাস উপদেষ্টা ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন, এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, সুমাইয়া আফরিন সানি, সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক।

উদ্বোধনের পরেই শুরু হয় অনুপ্রাসের পরিবেশনা। শুরুতেই ‘আমার দেশ, আমার স্বাধীনতা’ শিরোনামের একটি বৃন্দ পরিবেশনা হয়। পরে সংগঠনের সদস্যরা একক ও দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করে।

অনুপ্রাসের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও সংগঠনের উপদেষ্টা নাহিদা বেগমের নির্দেশনায় নির্মিত বিশেষ পালা চন্দ্রবতী। অনুপ্রাসের পরিবেশনার শেষাংশে মঞ্চে আসে পালাটি। পালা পরিবেশনাটি দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন।

এদিকে তারুণ্যের ‘তারুণ্যের জয়োৎসব’ অনুষ্ঠান থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন ৪ সদস্যকে। তারা হলেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সহ-সভাপতি ফাতেমাতুজ্জোহরা ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সা.সম্পাদক) মরিয়ম আক্তার সোনিয়া।

সংগঠনের উপদেষ্টা এন এম রবিউল আওয়াল চৌধুরী ও নাহিদা বেগম প্রতিষ্ঠাকালীন এসব সদস্যদের হাতে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অনুপ্রাস ছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশনা করেন ধ্বনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’র সভাপতি মাহতাব সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রোমানা রুমী। এছাড়াও আবৃত্তি করেন ত্রিপুরার সৃজনী সাংস্কৃতিক সংস্থার পরিচালক কবি সঞ্জীব দে।

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন ও প্লাটফর্ম।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।