তালিকাচ্যুতির অপেক্ষায় থাকা দুই কোম্পানির শেয়ার দরে উষ্ফলন

তালিকাচ্যুতির অপেক্ষায় থাকা একই গ্রুপের মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানির শেয়ার দর আবারও সর্বোচ্চ বেড়েছে ।কোম্পানি দুটি রিজার্ভ সংকটেও রয়েছে।ফলে বিপদসীমায় রয়েছে এই দুই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা।পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সাধারন বিনিয়োগকারীরা।

বুধবার মেঘনা পেট ১৩ টাকা থেকে দর বেড়ে ১৪টাকা ৩০ পয়সায় অবস্থান করে। একই সাথে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ১৩টাকা ২০পয়সা থেকে দর বেড়ে ১৪টাকা ৫০পয়সায় অবস্থান করে।ফলে এইদিন ডিএসই’র দর বাড়ার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে আলোচিত দুইটি কোম্পানি। ডিএসই সুত্রে জানাগেছে।

তথ্যমতে, যেখানে ১২কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের রিজার্ভে ঘাটতি রয়েছে ১৫কোটি টাকারও বেশি।আর অন্যদিকে ১৬কোটি টাকা পরিশোধিত মুলধনের কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের রিজার্ভে ঘাটতি রয়েছে ৭কোটি টাকারও বেশি।

সর্বশেষ তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে ২০০১সালে তালিকাভুক্ত হওয়া মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকদের কাছে ৪০দশমিক ১৭শতাংশ শেয়ার রয়েছে। আর সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৯দশমিক ৮৩শতাংশ। আর মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ৫০ শতাংশ শেয়ার পরিচালকদের কাছে আর বাকি ৫০শতাংশ শেয়ার সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকার পাশাপাশি টানা ৫ বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১৫ কোম্পানিকে গত ৭ আগস্ট তালিকাচুতির লক্ষ্যে শোকজ করে ডিএসই।এর মধ্যে ৫ কোম্পানির বাস্তব অবস্থান জানার জন্য পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। এই তালিকায় থাকা পাঁচটি কোম্পানির অন্যতম মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।

ডিএসই বলছে, কোম্পানিগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ বিতরণ ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিএসইর তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) ২০১৫ এর ৫১/১ এর আইন অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উল্লেক্ষ্য, গত ১৮ জুলাই এ আইনের ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা রহিমা ফুড ও মডার্ন ডাইং এন্ড স্ক্রিন প্রিন্টিংকে তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।