বোনাস শূন্য মেঘনা কন্ডেন্স মিল্কের তালিকাচ্যুতির সম্ভাবনা, তবুও দর বাড়ছে!   

মেঘনা কন্ডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত হয়।  তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কোন বোনাস দেয়নি কোম্পানিটি।একই সাথে ডিএসই’র লেনদেন থেকে তালিকাচ্যুতির সম্ভাবনাও রয়েছে।একইসাথে ১৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির রিজার্ভ ঘাটতি রয়েছে ৭ কোটি টাকারও বেশি। ডিএসই সুত্রে জানা গেছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই জাতীয় কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।এইসব কোম্পানি নিয়ে কারসাজি হয় বেশি।আবারও বিনিয়োগকারীরা সর্বশান্ত হতে যাচ্ছে এই ধরণের শেয়ারে বিনিয়োগ করে। সম্প্রতি ডিএসই’র লেনদেন থেকে তালিকাচ্যুত করা দুইটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা।হয়ত এই শাস্তির আওতায় বাকি তালিকায় থাকা সবার ক্ষেত্রেও তাই হবে। কিন্তু তারপরও আলোচিত কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েই চলছে।

বাজা্র বিশ্লেষনে দেখা যায়,গত ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৩টাকা ২০পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার লেনদেনের ১৫ মিনিটের মধ্যে বিক্রেতা শুন্য হয়ে যায় মেঘনা কনডেন্স মিল্কের শেয়ারে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার হল্টেড হয়ে মূল্য স্পর্শ করছে সার্কিট ব্রেকারে।দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর গিয়ে দাঁড়ায় ১৯ টাকা ২০পয়সায়। ৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬৮ শতাংশেরও বেশি।

এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম আজকের বাজারকে বলেন, দেখে শুনে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা উচিত। কোন কোম্পানি পাঁচ বছর বোনাস না দিলে তারপর তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে আরো আগেই নেওয়া উচিত। একই সাথে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেখা উচিত কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে লস দেখাচ্ছে কিনা। কারসাজি কারীদের বিরুদ্বে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক প্রফেসর আবু আহমেদ আজকের বাজারকে বলেন, সম্প্রতি দুইটা কোম্পানিকে ডিএসই’র লেনদেনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকেও হয়ত শাস্তি দেওয়া হবে।নিয়ন্ত্রকসংস্তা এগুলোকে পর্যবেক্ষনে রেখেছে।এইসব কোম্পানিকে শাস্তি পাওয়া উচিত।

জাকির/আজকের বাজার