তিনবারই জাপার সমর্থনে আ.লীগ ক্ষমতায়: এরশাদ

জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ তিনবার ক্ষমতায় এসেছে বলে দাবি দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও তিনি তেমন কিছু পাননি বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে এবার জাতীয় পার্টি নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আগামীতে নির্বাচন হবে না। আগামীতে এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণাও দেন সাবেক এই স্বৈরশাসক। সোমবার ০১ জানুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এরশাদ বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপির দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগকে সমর্থনের বিনিময়ে তারা আমার দলের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে দল ভাঙালেন। আমাদের ১৪জন এমপিকে কিনে নিলেন। আমাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাসহ নির্বাচনে অযোগ্য করা হলো।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৮ সালে মহাজোট করা হলো। কথা ছিলো ৪৮টি আসন দেবে, কিন্তু দেয়া হলো মাত্র ৩৩টি। জয়ী হলাম ২৯টিতে। বিএনপি পেলো ৩০টি। আমাদের কাছ থেকে যদি সেই ১৭টি আসন কেড়ে না নিতো তাহলে আমরা তখনই প্রধান বিরোধীদল হই। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা হতে দিলো না। আর ২০১৪ সালে জাপা যদি নির্বাচনে না যেতো তাহলে হয়তো বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমাহীন অত্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি আমাদের নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিলো। আল্লাহ আছেন, বিচার আছে। আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিনা দোষে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিলেন। আজ (বেগম জিয়া) কারাগার আপনার অতি সন্নিকটে। আমার প্রতি অনেক অন্যায় করেছেন, আজ তার প্রতিফল পাচ্ছেন।

‘ক্ষমতা নিতে বাধ্য হয়েছিলাম’

১৯৮২ সালে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুর সাত্তারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলকারী এরশাদ সে সময় ক্ষমতা গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে দাবি করেন, দেশের পরিস্থিতিতে তিনি সেদিন বাধ্য হয়েছিলেন, তার জায়গায় অন্য কেউ সেনা প্রধান হলেও তিনি বাধ্য হতেন।

‘সুখ তো নাই-ই, দুঃখের কথা বলি’- এই বলে সেই ইতিহাস বর্ণনা করেন। বলেন, ‘জাস্টিস সাত্তার (জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি) আমার কাছে এসে বললেন, তার মন্ত্রীরা দুর্নীতিবাজ, তাই তিনি ক্ষমতা সেনাবাহিনীর কাছে ছাড়তে চান।’

‘আমি ছিলাম সেনাবাহিনীর প্রধান, আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও ক্ষমতা নিতে হতো। তাই ১৯৮২ সালে বাধ্য হয়ে আমি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেই’-বলেন এরশাদ।

এরশাদের দাবি, তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। বলেন, ‘আমি ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছি, তাই ১৯৮৪ নির্বাচন দিয়েছিলাম, তখন জাতীয় পার্টি ছিল না। কোন দল আসেনি।’

আগের সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেছিলেন এরশাদ। সেই প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘দেশকে তো এভাবে অধোঃপতনের দিকে ফেলে দেয়া যায় না। তাই ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করি। চারমাস পর নির্বাচনে একমাত্র বিএনপি ছাড়া বাকি সব দল আসলো। সেই নির্বাচনে ১৫৩টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসি। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই।’

১৯৯০ সালে গণ অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়া এই সেনা শাসক অভিযোগ করেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি নিজে, তার পরিবার ও দলের অনেক নেতা-কর্মীকে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ তিন বারই ক্ষমতায় গিয়েছে জাতীয় পার্টির সহযোগিতায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই আমাদের প্রতি সুবিচার করেনি।’

এরশাদ বলেন,দেশকে তো এভাবে অধঃপতনের দিকে ফেলে দেয়া যায় না। তাই ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করি। চার মাস পর নির্বাচনে একমাত্র বিএনপি ছাড়া বাকি সব দল এলো। সেই নির্বাচনে ১৫৩টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসি। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই।

ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি নিজে, তার পরিবার ও দলের অনেক নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে জানিয়ে এরশাদ বলেন,সুখতো নাই-ই, দুঃখের কথা বলি। আওয়ামী লীগ তিন বারই ক্ষমতায় গিয়েছে জাতীয় পার্টির সহযোগিতায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই আমাদের প্রতি সুবিচার করেনি।

‘১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিএনপি পেয়েছিল ১৩৪ আসন, জাপা পায় ১৬, আর আওয়ামী লীগ ১৪৪ আসন পায়, জামায়াতের ছিল তিনটি। আমরা বিএনপির সঙ্গে যোগ দিলে জামায়াতের তিনটিসহ ১৫৩টি আসন নিয়ে জয়ী হতো বিএনপি। ১৯৯৬ সালে জেলে আমার কাছে মধ্যরাতে লোক পাঠিয়েছিল বিএনপি। সমর্থন চেয়ে বলেছিল- আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলেও তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিই, তারা সরকার গঠন করে। কিন্তু আমি কী পেলাম…! আমার দলের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে আমার দল ভাঙা হলো।’

এরশাদ বলেন,১৯৯১ এর নির্বাচনে বিএনপি আমাদের নির্যাতন করে দলে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা টিকে গেছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি, তাদের দোয়ায় টিকে আছি। জাতীয় পার্টি এখন বিগ ফ্যাক্ট ইন পলিটিক্স।

‘৯৬ সালে সরকার গঠনে সহায়তা চেয়েছিল বিএনপি’

১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার গঠনে জাতীয় পার্টির সমর্থন চেয়েছিল জানিয়ে এরশাদ জানান, তাকে সে সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাবও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

সাবেক সেনা শাসক বলেন, ‘১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ১৩৪ আসন, জাপা পায় ১৬, আর আওয়ামী লীগ ১৪৪ আসন পায়, জামায়াতের ছিল তিনটি। আমরা বিএনপির সঙ্গে যোগ দিলে জামায়াতের তিনটিসহ ১৫৩টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করত বিএনপি।’

‘১৯৯৬ সালে জেলে আমার কাছে মধ্যরাতে লোক পাঠিয়েছিল বিএনপি। সমর্থন চেয়ে বলেছিল- আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলেও তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেই, তারা সরকার গঠন করে।’

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন মিছিলে গুলিতে নিহত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন হত্যার বিচার প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন,প্রতি বছরই ২৭ নভেম্বর ডা. মিলন দিবস পালন করা হয়। কিন্তু এর বিচার কেন হলো না? আমরা ক্ষমতায় গেলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করবো।

‘একই মাসেই মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো নূর হোসেনের হত্যার দায় আমার না। নূর হোসেনকে কারা মেরেছে আমরা জানি না। তবে ক্ষমতায় গেলে এ বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হবে।’ বলেন এরশাদ।

দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এসএম ফয়সল চিশতী, সাহিদুর রহমান টেপা, লিলি চৌধুরী এমপি, সুনীল শুভ রায়, সোলাইমান আলম শেঠ, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মেজর অবসরপ্রাপ্ত খালেদ আখতার, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, নাসির উদ্দিন মামুন, ইসহাক ভূইয়া, একেএম আসরাফুজ্জামান খান প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

এরশাদ বলেন, মানুষের মাঝে প্রতিনিয়ত খুন আর গুমের ভীতি, অস্থির রাজনীতি। কিন্তু আমাদের মাঝে আর হতাশা নেই। বিজয়ের মাসে রংপুরে অভূতপূর্ব বিজয় প্রমাণ করেছে জাতীয় পার্টি আছে এবং থাকবে। রাষ্ট্রপধান হতে চাইনি। তৎকালীন বিএনপির সরকারের মন্ত্রিসভা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে সাত্তার সাহেবেরে অনুরোধে সেদিন ক্ষমতা নিয়ে ছিলাম। ক্ষমতা নিয়ে নির্বাচন দিয়ে ছিলাম। কেউ আসলেন না। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারীতে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করে সামরিক শাসন বিলুপ্ত করি। তার চার মাস পর নির্বাচন হলো। সে নির্বাচনে আওয়ালী লীগ, জামায়াত, সিপিবি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ২৮টি দল অংশ নিলো। চার মাসের এই দল ১৭৪টি আসন পেয়ে জয়ী হলো।

তিনি বলেন, আমাদের শাসনামলকে কেউ অবৈধ বলতে পারবে না। কারণ, হাইকোর্ট ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় পার্টির শাসনামল বৈধ ঘোষণা করেছে।

সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দেশের জন্য অনেক কিছু করেছি। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই। ডা. মিলনকে কে হত্যা করেছে আমি জানি না। হত্যাকারীদের গ্রেফতারও করা হলো না। নুর হোসেনকে পিছন থেকে গুলি করা হলো, তার হত্যারও বিচার কোনো সরকার করলো না। আমি ক্ষমতায় আসতে পারলে এই হত্যার বিচার করে প্রমাণ করবো আসলে এই হত্যার পেছনে কারা দায়ী। আর কেন তাদের হত্যা করা হলো।

নিজ দলের ভবিষৎত উত্তারধিকারী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাপার ভবিষৎত দায়িত্ব কে পাবেন তা একটি বিরাট প্রশ্ন। এ বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত দেবো। আর যদি কোনো কারণে আমি ঘোষণা না করে যেতে পারি, তাহলে প্রেসিডিয়াম সিদ্ধান্ত নেবে কে হবে জাপার ভবিষৎ চেয়ারম্যান।

সভাপতির বক্তব্যে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, জনগণ এখন সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টিও চায়। রংপুরে এর প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন হলেও ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজধানী ঢাকায় উন্নয়ন দেখা গেলেও ঢাকার বাইরে তা হচ্ছে না। তিনি নিজ দল প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কারো দাবার ঘুঁটি হতে চাই না। আমরা রাজা হতে চাই। দেশবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে চাই।

সভার শেষে জাপা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সমবেত নেতাকর্মীরা রাজধানীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন এরশাদ।

র‌্যালিতে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার বিশাল শোডাউনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির অনুসারী নেতাকর্মীরাও বিশাল মিছিল নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন।

এছাড়া র‌্যালিতে জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় যুব সংহতির ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, কৃষক পার্টি, মহিলা পার্টির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। র‌্যালীটি ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউট এর সমানে থেকে শুরু হয়ে মৎস ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, বিজয় নগর হয়ে কাকরাইলের পার্টি অফিসে এসে শেষ হয়।

সকালে জাপার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে জাতীয় কৃষক পার্টি। এতে নেতৃত্ব দেন কৃষক পার্টির সভাপতি ও জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মামুন। র‌্যালিতে লাঙ্গল, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি সহকারে রাজধানীর কাকরাইল পল্টন, জিরো পয়েন্ট হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

উৎস‌বমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

এর আগে ২০১৮ সালের প্রথম প্রহরে বনানীতে দলের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার। সকালে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতা ক‌র্মীদের সাথে নিয়ে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনায় যোগ দেন দলের শীর্ষ নেতারা। এই আয়োজনে অংশ নিতে দেশের বি‌ভিন্ন এলাকার নেতাক‌র্মীরা অংশ নেন। ‘আওয়ামী লীগের প্রতিদ্ব‌ন্দ্বী বিএন‌পি নয়, জাতীয় পা‌র্টি’- এই মর্মে স্লোগানও দেন তারা।

‌সকাল ১০ টা ৫৪ মি‌নি‌টে সভাস্থ‌লে আসেন এরশাদ। ১০টা ৫৭ মি‌নিটে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন এরশাদ। এরপর জাজীয় সঙ্গীত ও কোরআন তেলাওয়াতের পর আবার দলীয় সঙ্গীত গান নেতা-কর্মীরা। আর এরশাদ ও দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সঙ্গে দলীয় সঙ্গীত ‘নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা, নতুন ক‌রে আজ শপথ নিলাম’ গান নেতা-কর্মীরা।

আজকের বাজার: এলকে/ ১ জানুয়ারি ২০১৮