তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত পাঁচ

ঢাকার রায়ের বাজার, কক্সবাজারের উখিয়া ও পাবনার আতাইকুলায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ ব্যক্তির নিহতের কথা জানিয়েছে র‌্যাব-পুলিশ।

রাজধানীর রায়ের বাজারে নিহত দুই ব্যক্তিকে ‘ডাকাত দলের সদস্য’ দাবি করলেও তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেতে পারেনি র‌্যাব।

অপরদিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় নিহত চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার মোঃ শাহ আলমের পুত্র আব্দুস সামাদ (২৭) ও যশোর অভয়নগর উপজেলার নাজমুল সর্দারের পুত্র আবু হানিফ (৩০) মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আর পাবনায় নিহত কোরবান হোসেনকে (৩৬) চরমপন্থি দলের নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

র‌্যাব-২ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর রায়ের বাজার গোবরস্থানে একদল ডাকাত জাড়ো হচ্ছে খবরে সেখানে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি দল। উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে র‌্যাব। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

এদিকে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজার এলাকায় র‌্যাবের চেক পোস্ট এলাকা দিয়ে একটি ট্রাক অতিক্রমকালে থামার সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু ট্রাকটি না থামিয়ে র‌্যাবের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

এক লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, আট রাউন্ড গুলি ও আট রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নিহত আবদুস সামাদ ও আবু হানিফ পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে পাবনার আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাছুদ রানার ভাষ্য, সোমবার রাত দেড়টার দিকে আতাইকুলা থানার কৈজরী গ্রামের সোবহানের কাঠাল বাগানে একদল চরমপন্থী সন্ত্রাসী গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টেরে পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছড়ে। এক পর্যায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা তাকে কোরবান হোসেন পরিচয়ে শনাক্ত করে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, ঘটনাস্থাল থেকে পুলিশ একটি রিভলবার, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি কার্তুজের খোসা, ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি ডায়াং মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

নিহত কোরবানের বিরুদ্ধে আতাইকুলা ও পাশ্ববর্তী আটঘরিয়া থানায় হত্যা-ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি। তথ্য-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ