দশ বছরে দুই কোটি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত এক দশকে বিশ্বের নানা প্রান্তে দুই কোটি মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দারিদ্র্য বিরোধী দাতব্য সংস্থা অক্সফামের সর্বশেষ গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বেশির ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দাবানলের কারণে। গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতে ৩৫ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন।

জাতিসংঘের উদ্যোগে স্পেনের মাদ্রিদে কপ-২৫ লিডার্স সামিট শুরুর প্রাক্কালে অক্সফাম তাদের গবেষণায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কিভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা দেখিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যুদ্ধে যে পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন তার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হন বন্যা ও দাবানলে।

অক্সফামের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ টিম গোরে বলেছেন, বিশ্ব উষ্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন থেকে আমরা সতর্ক করেছি। এখন আমরা নিজের চোখেই দেখছি কিভাবে দুর্যোগ হানা দিচ্ছে। এসব বিপর্যয় বহু দরিদ্র দেশকে এমন এক অবস্থানে ফেলে যায় যে, তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আরেকটি বিপর্যয় তাদেরকে আঘাত করে।

ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৫ লিডার্স সামিটে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের জন্য একটি বাস্তবতা। এটি মানুষের জীবন ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই তাহলে তারা ক্ষমা করবে না। প্রতি মুহূর্তে আমাদের নিস্ক্রিয়তা পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই এখনই সময় কাজ জলবায়ু পরিবর্তনে করার।খবর ভিওএ।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান