দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৪ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।

অথচ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। ৮ অক্টোবর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য দেখা গেছে। মূলত রপ্তানির বিপরীতে আমদানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে দেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আলোচ্য সময়ে নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের ‘নিজ দায়িত্বে’ করা আমদানি পণ্যের পরিমাণ ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে একই শর্তে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আলোচ্য সময়ে সেবা খাতে আমদানি-রপ্তানির পার্থক্যও ৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৬ হাজার ২৭৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

আলোচ্য সময়ে চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই হিসাবে ৮১ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। এই হিসাবে আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে ঋণ করতে হয় না।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে জানা যায়, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দেশের পণ্য ও সেবা উভয় বাণিজ্যেই ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি ৯ শতাংশ এবং রপ্তানি ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। অর্থের হিসাবে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। বিপরীতে পণ্য রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৪০১ কোটি ডলারের। ফলে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৪৭ কোটি ডলার। তার আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৪৬ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গেল অর্থবছরে ঘাটতি ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ অক্টোবর ২০১৭