দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতো না : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাঠে কৃষি নিয়ে যারা নিবেদিত আছেন তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশপ্রেম না থাকলে কৃষিখাতে অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি খাতকে অকল্পনীয় গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। দেশে সুশাসন বিরাজ থাকায় নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে। আর সুশাসন না থাকলে এসব কাজের সুযোগই হতো না।’
শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি সদরের পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে ‘মাটিছাড়া নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সবজি চাষাবাদ কলাকৌশল’ শীর্ষক মাঠ দিবস ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে। আমরা দক্ষতার সাথে এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় অতিমারি করোনায় বাংলাদেশের নাগরিকরা অন্যান্য দেশের আগে ভ্যাকসিন নিতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি আগে নিজেরা টিকা নিয়েছেন, পরে দেশের নাগরিকদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের কল্যাণ চান। তিনি দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ফসলি মাটি যেন খালি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা দেশব্যাপী বাস্তবায়িত হচ্ছে। কৃষিজমি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অধিক ফসল উৎপাদন এবং অপরদিকে কৃষিকাজে নিয়োজিতদের নিজেকে একজন যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রযুক্তির সাহায্যে মাটিছাড়াই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সবজি চাষাবাদ কলাকৌশল প্রয়োগ করে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। বিশেষ কেসিং পদ্ধতিতে নেট টব ব্যবহার করে মাটিছাড়াই বিষমুক্ত সবজি চাষ করা যায়। নেট টব বীজের শিকড়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অর্গানিক ফুড, সেফ ফুড হিসেবে টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা, আলু, গাজর, আম, জাম, লিচু ইত্যাদি এ বিশেষ পদ্ধতিতে ফলন সম্ভব হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি কফি ও কাজুবাদাম চাষের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আলতাব হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও কৃষি আহ্বায়ক আশুতোষ চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষার আহ্বায়ক নিরোৎপল খীসা, খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাশিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।