দেশীয় উদ্যোক্তাদের ‘ব্লু-ইকোনমি’ নিয়ে কাজ করার আহবান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী নৌপথ নিশ্চিত করতে নৌ-সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি, দক্ষ ও চৌকস নাবিক তৈরি করতে নৌ-শিক্ষার আধুনিকায়ন, নদী দূষণ ও দখল করা থেকে বিরত থাকা ও রাখা নিশ্চিত করতে হবে। নৌপথকে আরো জনপ্রিয়, আরামপ্রদ ও সাশ্রয়ী করতে পারলে সড়ক ব্যবস্থার উত্তম বিকল্প হিসাবে নৌপথ বিশেষ গুরুত্ব পাবে। নৌপথে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহষ্পতিবার ঢাকায় মতিঝিলস্থ বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ‘বিশ্ব নৌদিবস- ২০২০’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
‘বিশ্ব নৌদিবস-২০২০’ উপলক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

‘টেকসই নৌপরিবহন টেকসই বিশ্ব’ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এবছর বিশ্ব নৌদিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্ব নৌ সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব নৌদিবস’ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এ জেড এম জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মোবাইলে ফোনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বক্তব্য রাখেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে নৌখাতের উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান রয়েছে। নদী খননের উদ্দেশ্যে গত ১০ বছরে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জন্য আমদানি করা হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রেজার এবং সহায়ক জলযানসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এসব ড্রেজারের সাহায্যে নদী খনন ও পলি অপসারণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই নদীমাতৃক বাংলাদেশের উন্নয়নে নৌপথকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন পরিদপ্তর গঠন করেন যা বর্তমানে অধিদপ্তরে রূপলাভ করেছে। অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে নতুন নতুন পদ সৃজন করে নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। সরকারি সেবা আরো সহজ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অনলাইন কার্যক্রমের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি সরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের সেবাকে আরো সহজ ও জনমুখি করবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অর্থাৎ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ১৯৭৩ সালে ছিল মাত্র ১২০ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের গতিকে বার বার বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা তা কাটিয়ে উঠছি যা দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নপুরুষ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে ওপর ভর করে আমরা আমাদের রুপকল্পগুলো বাস্তবায়নে জোর কদমে অগ্রসর হচ্ছি।