দেড়শ বছর পর পূর্ণগ্রাস ও চন্দ্রগ্রহণ

একই সঙ্গে পূর্ণগ্রাস ও চন্দ্রগ্রহণ একটি বিরল ঘটনা। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৬ সালে। ১৫২ বছর পর আগামী বুধবার ৩১জানুয়ারি আবারও এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ খুব ভালোভাবে দেখা যাবে।

তাছাড়া পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বাসিন্দারাও এ বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবে। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক এই ঘটনাটি বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে।

স্পেস ডটকম তথ্য অনুযায়ী, একইদিন পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় চাঁদ রক্তিম রং ধারণ করবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে ওই সময় চাঁদে লাল বা কমলা রঙের আভা দেখা যায়।

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিটে চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠবে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মধ্যবর্তী অংশ ৭টা ২৯শ মিনিটে সংঘটিত হবে। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট স্থায়ী হবে। রাত ১০টা ৮ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায় শেষ হবে।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেছে। এজন্য দুটি পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আযোজন করেছে তারা।

ক্যাম্প দুটির একটি হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মানমন্দির। অন্যটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।

এছাড়া চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নানা প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মান্ডায় অবস্থিত গ্রিন মডেল টাউনে।

এই ক্যাম্প থেকে ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ঢাকার বাইরে রাজশাহীর রুয়েটে, বরিশালে, পঞ্চগড়ে, ঝিনাইদহে জেলায় ও অনুসন্ধিৎসু চক্রের উদ্যোগে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করবে।

ক্যাম্প শুরু সন্ধ্যা ৫টা ৪৮মিনিট থেকে। গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা জানান, সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর নয়। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ আবশ্যক নয়, তবে পরিষ্কারভাবে দেখতে সেগুলোর ব্যবহার করা যেতে পারে

আজকের বাজার:এসএস/২৯জানুয়ারি ২০১৮