ধূমপান ও মাদকরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন : ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, ধূমপান ও মাদকরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে মানবসম্পদ রক্ষায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধূমপান ও মাদকরোধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী : বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান এবং আরমা দত্ত অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ধূমপান একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ। অর্থনৈতিক ক্ষতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতিকে ছাপিয়ে এটি মানবসম্পদ ধ্বংসকারী একটি ব্যাধি। অংশীজনদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।
তিনি বলেন, তামাক উৎপাদনকারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করার মত সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। আর এ খাত থেকে যে রাজস্ব আয় হয় তার তুলনায় তামাক ব্যবহারকারীদের পেছনে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় অনেক বেশি।
শামসুল হক টুকু বলেন, আইনের প্রয়োগ, পারিবারিক সচেতনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন তামাকজাত দ্রব্য ও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারে। এর সাথে সাথে সকল রাজনৈতিক দলকে মাদকের বিরুদ্ধে একই প্লাটফর্মে আসতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আওয়ামী লীগের সাথে সাথে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের মাদকের বিরুদ্ধে একমত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)