নতুন ভ্যাট আইনে সৎ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন

আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভ্যাট আইন অনেক বেশি স্বচ্ছ বলে দাবি করে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা পূর্ব) কমিশনার ড.এ.কে.এম. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, নতুন ভ্যাট আইন চালু হলে সৎ ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হবেন।

আজ শুক্রবার ১২ মে রাজধানীর ওয়ারী লারমিনি স্ট্রিটের সানাই কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা পূর্ব কমিশনারেটের উদ্যোগে ‘অনলাইন ভিত্তিক ভ্যাট ব্যবস্থার বিষয়ে সচেনতা তৈরি ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। কর্মশালায় এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় চেম্বারের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।

ড.এ.কে.এম. নুরুজ্জামান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন অনেক বেশি স্বচ্ছ; যা একইসঙ্গে ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব, উন্নয়নবান্ধব, ভোক্তাবান্ধব ও রাজস্ববান্ধব। এ ভ্যাট আইন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সৎ ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সভা, রাজস্ব সংলাপ, সেমিনার, টিভি টক-শো ইত্যাদি আলোচনায় গঠন মূলক বক্তব্য দিচ্ছে এনবিআর। এসব সভা-সেমিনারে নতুন আইনের সুবিধাগুলোর বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। ফলে এ আইন বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ী ও করদাতারা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হবেন। এ কমিশনার বলেন, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে নিবন্ধন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। নিবন্ধন মেলায় ব্যবসায়ীরা উৎসবমুখর পরিবেশে নিবন্ধন গ্রহণ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে স্থাপিত ‘ভ্যাট হেল্প ডেক্স’ ও ‘মোবাইল ভ্যাট হেল্প ডেক্স’ থেকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ী ও স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নতুন আইনে প্যাকেজ ভ্যাটের প্রয়োজনীয়তা নেই। নতুন আইনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের বিপরীতে কোনো মূসক দিতে হবে না। বার্ষিক ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে মাত্র ৩ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ বলেন, সব ব্যবসায়ীদের নতুন আইনটি ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। এই আইনে হিসাব সংরক্ষণ ও মূসক প্রদান প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত করদাতাদের ভ্যাট অনলাইনের সুবিধা সম্পর্কে জানাতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা (পূর্ব) কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার তাসমিনা হোসেন লুনা ও যুগ্ম কমিশনার নাহিদ নওশেদ মুকুল।