নিউইয়র্কে ই-সিগারেটও নিষিদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে আগে থেকে নিষিদ্ধ ছিল প্রকাশ্য ধুমপান। এবার সেখানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে কথিত কম ক্ষতির ই-সিগারেটও।

সম্প্রতি অঙ্গ রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, সাধারণ সিগারেটের মতোই ই-ধূমপানও সমান বিবেচনা করা হবে। নতুন এই আইনটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে।

রাজ্যটিতে সিগারেটের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা চালু করার পর থেকেই ই-সিগারেট আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৩ সাল থেকে নিউইয়র্ক সিটিসহ রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, রাজ্যটির প্রায় ৭০ ভাগ পৌরসভায় ইতোমধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেঁস্তোরা, বার, অফিস-আদালতেও এ নিষিদ্ধের আওতায় থাকবে।

কিন্তু নতুন এ আইনে তুলনামূলক কম প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজ্যজুড়ে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এন্ডু কিউমো বলেন, সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই- সিগারেট বিপণন করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে এর ব্যবহারকারী ও আশপাশের লোকজনের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকছেই।

এই পদক্ষেপটি আইন থেকে পলায়নের বিপজ্জনক পথটি বন্ধ করবে এবং সবার জন্য শক্তিশালী, স্বাস্থ্যসম্মত নিউইয়র্ক সিটি তৈরি করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সম্প্রতি নতুন গবেষণায় জানা গেছে ই-সিগারেটও সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর।

আমেরিকান জার্নাল অব রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের বরাত দিয়ে দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস থেকে এ খবর জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়েছে জার্নালটি।

নর্থ ক্যারোলিনা চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. মেহমেত কেশমিয়ার জানান, ‌‘ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে গবেষণা মাত্র শুরু হয়েছে। আমাদের গবেষণা বলছে ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের মতই ক্ষতিকর। দুটোর মধ্যে পার্থক্য নেই বললেই চলে।’

গবেষকরা বলছেন, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিউট্রোফিল গ্রানুলোসাইট এবং নিউট্রোফিল এক্সট্রা সেলুলার ট্র্যাপ (এনএটি) প্রোটিন জন্ম নেয়। যার কারণে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এবং সিসটিক ফাইব্রোসিসের মত ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের জটিল রোগ হতে পারে। এই এনএটি ফুসফুসের বাইরে রক্তনালী ও অঙ্গপ্রতঙ্গের টিস্যুরও মৃত্যু ঘটায়।

এ গবেষণায় ১৫ জন ই-সিগারেট, ১৪ জন সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপায়ী এবং ১৫ জন অধূমপায়ীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, ই-সিগারেট, সাধারণ সিগারেটের মতোই ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৪ অক্টোবর ২০১৭