নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান শ্যামল কান্তি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ২ জুন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি, তাকে দেওয়া সরকারি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।

শ্যামল কান্তি বলেন, আমাকে সরাক্ষণ মেন্টাল টর্চারের মধ্যে রাখা হচ্ছে। সরকার আমাকে যে নিরাপত্তা দিয়েছিল, সেই নিরাপত্তা কার হুমকিতে, কার নির্দেশে এবং কার জন্য তুলে নেওয়া হল? তিনি বলেন, চরম নিরাপত্তাহীনতা থেকে মুক্তি চাই। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আমার মতো শিক্ষকের বাকি জীবনটুকু নিরাপদে কাটাতে পারব।

নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের নামে করা ঘুষের মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

শ্যামল কান্তি অভিযোগ করেন, স্কুল থেকে বিতাড়িত করতেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, মার সংসার এখন ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে, বলতে গেলে প্রায় ধ্বংসের পথে। আমি আতঙ্কিত আছি, কারণ ওই পরিবার আমাকে যে কোনো সময় নিশ্চিহ্ন করতে পারে।

উল্লেখ, ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত বছরের ১৩ মে শ্যামল কান্তিকে তারই স্কুলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়, ওই ঘটনার ভিডিওতে তাকে কান ধরে উঠ-বসের নির্দেশ দিতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে।

ওই ঘটনার দুই মাসের মাথায় শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা করেন তার এক সহকর্মী। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে গত ২৪ মে আদালত শ্যামল কান্তিকে কারাগারে পাঠায়।

এক সপ্তাহ পর গত বুধবার জামিনে মুক্তি পেয়ে এই শিক্ষক বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে অপমান করা হয়েছে। এই মামলার পেছনে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের ইন্ধন রয়েছে বলে কারাগারে যাওয়ার আগে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় ও মহাসচিব আনন্দ বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ জুন ২০১৭