নৃশংসভাবে শিশু তুহিন হত্যা: ১০ জনকে আসামি করে মামলা

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্মমভাবে শিশু তুহিন হাসান (৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তার মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার ভোরে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

দিরাই থানার ওসি আবু তাহের মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের নাম জানা যায়নি।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার রাজানগর ইউপির গচিয়া কেজাউড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে কান ও পুরুষাঙ্গ কাটার পর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

তুহিনের চাচাতো বোন সাবিনা বেগম জানান, রোববার রাতে আমরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি রাত তিনটায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি দরজা খোলা, তুহিন ঘরে নেই। পরে সবাইকে ডাকি। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছু দূরে মসজিদের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাই। এ সময় তুহিনের কান ও পুরুষাঙ্গ কাটা এবং পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিলো।

স্থানীয়রা জানায়, তুহিনের বাবা আবদুল বাসিরের ও তার ভাইদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আবদুল বাসিরের ভাগনি নিলুফা হত্যায় জেলও খাটেন আনোয়ার হোসেন। এছাড়া তুহিনের শরীরে গাঁথা ছুরি দুটিতে সালমান ও সালাতুল লেখা ছিলো। আনোয়ার হোসেনের দুজন নিকট আত্মীয়ের নাম সালামন ও সালাতুল।

খবর পেয়ে সোমবার সকালে জেলার এসপি মো. মিজানুর রহমান পিপিএম, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা আবদুল বাসির, ও তার তিন চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল, চাচি খয়রুন বেগম এবং চাচাতো বোন তানিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সুরতহালে যাদের নাম রয়েছে তাদের বিষয়টিও নজরে আছে বলেও জানিয়েছেন ওসি আবু তাহের।

আজকের বাজার/এমএইচ