পটুয়াখালীতে ইমামের মাথা ন্যাড়া, সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

পটুয়াখালীর বেতাগী উপজেলায় মসজিদের ইমামকে নির্যাতনকারী এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাকৃত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. রাসেল হাওলাদার (২৬)। রাসেল মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদের ইমাম মো. গফফার (৩০) বেতাগী উপজেলার মিয়ার হাট গ্রামের কাওনিয়া হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের খতিবের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরণের তাবিজ দিয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন করা হয়। সেই সময় এক রোগীর সন্ধান দেয়া হয়। সেই খবর পেয়ে তিনি মোটরসাইকেলযোগে দক্ষিণ মির্জাগঞ্জের চরে যান। সেখানে রাসেল, আনসার ও জলিলসহ চার থেকে পাচঁজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পাইপ দিয়ে পিটায় এবং মাথা ন্যাড়া করে দেয়। ঘটনার পর গুরতর আহত অবস্থায় গফফারকে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ওইদিন গফফারের বড় ভাই মো. রাজ্জাক বাদী হয়ে আনসার, জলিল ও রাসেলসহ পাঁচজনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মির্জাগঞ্জ থানার (ওসি তদন্ত) মো. মেহেদী হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার পাশে অভিযান চালিয়ে ইমামকে নির্যাতনকারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই গ্রামের মো. রুস্তম আলীর ছেলে মো. আনসার (৩৪) ও মো. জলিলকে (৪০) আটক করে পুলিশ।

আজকের বাজার/একেএ