পাকিস্তানে সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান লে. জেনারেল (অব.) আসাদ দুররানির দেশত্যাগে দেশটির সেনাবাহিনী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর টুইটারে বলেন, একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত টিম বইটি বিশ্লেষণ করে সেখানে দুররানি শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেছেন কিনা তা নির্ধারণ করবেন। এর পর বিষয়টি কীভাবে অগ্রসর হবে, সে ব্যাপারে সেনাপ্রধানের কাছে সুপারিশ করবেন।-খবর ডন অনলাইনের।

এটিকে পাকিস্তানের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে পাক সেনাবাহিনীর কথিত ভূমিকা নিয়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একজন সাবেক প্রধানের সঙ্গে যৌথভাবে বই লেখার পর তার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল।

জেনারেল দুররানি ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। একজন পাকসেনা মুখপাত্র বলেছেন, দুররানি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য তার নাম ‘এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে’ রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি জেনারেল দুররানি ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান এএস দৌলতের লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়।

‘দ্যা স্পাই ক্রনিকলস : র, আইএসআই অ্যান্ড দ্যা ইলিউশন অব পিস’ নামক বইটি গত সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। বিশেষ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জেনারেল দুররানিকে তলব করে এ বই লেখার পেছনে তার ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা জানতে চায়।

পাক সেনাবাহিনী জানায়, এটি লিখে সেনাবাহিনীর ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন করেছেন দুররানি।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তৎপর গেরিলাদের পাকিস্তান পৃষ্ঠপোষকতা দেয় বলে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে আসছে।

এ ছাড়া আফগানিস্তানে তৎপর তালেবানসহ অন্যান্য গোষ্ঠীকে পাকিস্তান সহযোগিতা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে আমেরিকা। দুটি অভিযোগই অস্বীকার করে থাকে ইসলামাবাদ।

আরজেড/