পুঁজিবাজারের জন্য বরাদ্দ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ

২০১৭-১৮ অর্থবছরে পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে প্রণোদনা দিতে ১০ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা উচিত।

১০ জুলাই সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি ব্যয় দিয়ে ব্যক্তি পুঁজিতে লাভ দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা ব্যবহারে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে।

ব্যাংকের জন্য রাখা ২ হাজার কোটি টাকা রাখা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই অর্থ সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর মতো তলিয়ে যাবে। ব্যাংকে যে পরিমাণ ঘাটতি আছে- সেখানে এই ২ হাজার কোটি টাকা কোনো অবদানই রাখবে না। এর জন্য প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিচালনায় সুশাসন, বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিকভাবে দেখভাল করা, ব্যাংকিং বিভাগ কি করছে- এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়ে গেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি সক্রিয় ও দক্ষতা দেখাতে পারতো। বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত সংস্কার যে হচ্ছে না; এর মূল কারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব- তার খোঁজ রাখতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছু সংযত করার সুযোগ আছে। এর মধ্যে ব্লক বরাদ্দ ৩ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা রয়েছে। এই টাকা পরিহার করার সুযোগ আছে কি না- সরকার বিবেচনা করতে পারে। এছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকাও সর্তকতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১০ জুলাই ২০১৭