পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা ফিরেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অত্যন্ত সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের সাথে দায়িত্বপালন করায় মানুষ এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর বিশ্বাস এবং আস্থা ফিরে পেয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবগঠিত রংপুর মহানগর পুলিশ (আরএমপি) এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং গণমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছে।

‘একটি দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বজায় রাখা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর মাঝে তিনি সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ প্রত্যক্ষ করেছেন; এটি অতুলনীয়।’

দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ভূমিকার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

‘পুলিশ বাহিনী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে দমন করার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এজন্য আমরা সাফল্য অর্জন করেছি’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সরকারের দায়িত্ব জনগণকে সেবা করা। আমরা চাই মানুষ দ্রুত পুলিশের কাছ থেকে সেবা পাবে।এই উদ্দেশে সরকার আরএমপি এবং জিপিএম গঠন করেছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নের জন্য সর্বদা কাজ করে।

পুলিশ বাহিনী উন্নত করতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী ও উন্নত করার জন্য কাজ করেছি যাতে তারা জনগণের জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।’

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণনিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন।

পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্বাচিত আরএমপি কমিশনার মো. আব্দুল আলীম মাহমুদ ও জিএমপি কমিশনার ইয়াইএম বেলালুর রহমানের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর আরএমপি গঠনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে সরকার। এতে ১,১৮৫ জনবল নেয়া হয়। ২৩৯.৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা এবং ছয়টি থানা- কোতয়ালী, পরশুরাম, হাজীরহাট, হারাগাছ, তাজহাট, মাহীগঞ্জ এবং বেশ কয়েকটি পুলিশ চৌকি নিয়ে আরএমপি গঠিত হয়।

এক পুলিশ কমিশনার, দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, দুই ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও এক অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারসহ মোট ৪৭০ জন পুলিশ সদস্য আরএমপি এবং ২৯৫ জনকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি ৩৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা, ছয়টি ইউনিয়ন এবং গাজীপুর এবং টঙ্গী পৌরসভা মিলে গঠিত হয়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।

জিএমপির আটটি থানায় প্রায় ১১০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তথ্য-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ