পুলিশ দলীয় নেতাদের হয়রানি করছে: মঞ্জু

পুলিশ দলীয় নেতাদের বাসায় গিয়ে তল্লাশি, গ্রেফতার ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

বুধবার ( ৯ মে) সকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

মঞ্জু বলেন, ‘আজকেও একটি রাত আমার নির্ঘুম কেটেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর থেকেই আমি এবং আমার কর্মীদের ওপর পুলিশ দ্বিতীয় দফায় শহরজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে, হেনস্তা করেছে, পরিবারে সদস্যদের গালিগালাজ করেছে, দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে, এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে।’

তিনি বলেন,  ‘পাঁচটি থানায় এই সাঁড়াশি অভিযানে শত শত পুলিশ অংশ নিয়েছে। গতকাল দুপুরে এই সংবাদ পাওয়ার পর আমি সম্মানিত পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছেন, গ্রেপ্তার অভিযান করার মতো নির্দেশনা আমাদের নাই। তাঁর এ বক্তব্যকে সত্য ধরেই আমি অপেক্ষায় ছিলাম।’

মঞ্জু অভিযোগ করেন, ‘পরাজয় ঠেকাতেই সরকার এগুলো করছে। সরকার পুলিশকে অসৎভাবে ব্যবহার করছে। আমি বারবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছি—যতই ঝড় আসুক, বিএনপি এই নির্বাচন থেকে সরে যাবে না। এখনো নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট আছে।’

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘গতকাল রাত সোয়া ১টায় মহানগর বিএনপির সহসম্পাদক একরামুল কবির মিল্টনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর স্ত্রী (ফোনে) কেঁদে কেঁদে বলছে, তাঁর স্বামীকে (মিল্টন) বলা হচ্ছে, ওসি সাহেব দেখা করতে বলেছেন। ওয়ারেন্ট, মামলা কিছুই নেই, কেন দেখা করবে? আমি বললাম, আপনি পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন যে কোনো ওয়ারেন্ট আছে কি না। পুলিশ বলছে কোনো ওয়ারেন্ট নেই, ওসি সাহেব তাঁকে ডেকেছেন।’

তিনি আরও বলেন , ‘পুলিশ ধরপাকড় চালাবে, নির্বাচনী কাজও ইনশাআল্লাহ চলবে। এই যুদ্ধে যদি কেউ না থাকে, তাহলে আমি একাই থাকব। আমি সবাইকে বলছি, সময়মতো বেরিয়ে আসুন।’

বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের এক কর্মকর্ত বলেন, এটা নিয়মিত অভিযান। নিয়মিত অভিযানে এ ধরনের গ্রেপ্তার থাকে।

উল্লেখ্য,  আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তালুকদার আবদুল খালেক।

আরজেড/