প্রান্তিক পর্যায়ে এসডিজির সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখুন: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সর্বাধিক প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সুবিধা নিশ্চিতে এবং এ গ্রহের সুরক্ষায় দেয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘এ গ্রহ ও তার জনগণের জন্য আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা অটুট রাখার জন্য আমি সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত আমরা একত্রে এসডিজির সুবিধাগুলোকে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারব, যাদের অবস্থান প্রায়শই সমাজের একেবারে তলানিতে থাকে।’

বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি সম্মেলন) ওপর উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘এসডিজি স্থানীয়করণ’ সংলাপে যৌথভাবে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনকালে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ‘ধারণার বিনিময় উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে। এছাড়া এটি আমাদের নিজস্ব প্রসঙ্গে সেরা অনুশীলনগুলোর প্রতিরূপে সহায়তা করবে।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে সকল স্থানীয় অংশীজনদের ক্ষমতায়নের একমাত্র প্রক্রিয়াটিও হলো এসডিজি’র স্থানীয়করণ। এর লক্ষ্য স্থানীয় প্রয়োজন এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে টেকসই উন্নয়ন আরও প্রতিক্রিয়াশীল এবং প্রাসঙ্গিক করা। স্থানীয় এবং বৈশ্বিক উভয় স্তরে অর্থবহ অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতা সমানভাবে প্রয়োজনীয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়করণ লক্ষ্যকে স্থানীয় বাস্তবতা ও আকাঙ্খায় রূপান্তরিত করে। এটি ব্যক্তি হিসেবে উদ্বুদ্ধকরণ এবং বাস্তবায়নের জন্য একটি সংহত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পদ্ধতির প্রচার করে’।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজির লক্ষ্যসমূহকে সম্পৃক্ত করেছি এবং আবার আমাদের ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও জুড়ে দিয়েছি।’

‘আমরা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অংশীজনদের কাজে লাগিয়ে ‘হোল সোসাইটি অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করেছি, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা একেবারে সমাজের তলানিতে অবস্থান করছেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজির স্থানীয়করণ কার্যকরভাবে করতে তার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪০টি সূচক নির্ধারণ করেছে। এর বাইরে ১৭টি লক্ষ্য থেকে ৩৯টি সূচক বাছাই করা হয়েছে। বাকি একটি সূচক জরুরি প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন সনাক্ত করবে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশাসক এ্যাচিম স্টেইনার, ইন্টার পার্লামেন্টারিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট গ্যাবরিয়েলা চ্যুয়েভাস ব্যারন, ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়র মেয়র ত্রি রিসমহারিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সূত্র – ইউএনবি