ফ্লোর প্রাইস তোলার জন্য অধীর আগ্রহে আছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, আমরা খুব শিগগিরই একটা শক্ত অবস্থান দেখতে পেলেই ফ্লোর প্রাাইস উঠিয়ে দেব। যখনই আমরা দেখবো বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নিরাপদে আছে তখনই আমরা ফ্লোর প্রাইস সরিয়ে দেব। আমরাও অধীর আগ্রহে আছি কখন এই ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে পারবো।

মঙ্গলবার ঢাকায় ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: সম্ভাব্য প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কমিশনের বয়স প্রায় তিন বছর ২ মাস। আমরা যেদিন দায়িত্ব নিয়েছিলাম সেদিন বাংলাদেশের সব মানুষ ঘরে থাকতো। সেসময় কোন ইকোনমিক এক্টিভিটি ছিলো না। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ যে হঠাৎ শুরু হবে তাও আমরা বুঝতে পারিনি। এটা আমাদের অনাকাক্সিক্ষত বিপদ।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে অনেক চাপ, যেখানে ঠোঁটের নড়াচড়ার প্রভাবে মার্কেটের সূচক ওঠা-নামা করে। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম রিজার্ভের সাথে সাপ্লাই ভোলাটিলিটি কমতে শুরু করেছে। সাথে ক্যাপিটাল মার্কেটের ইনডেক্সও। আর তাই বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।
তিনি বলেন, কেন্দ্রিয় ব্যাংক এবং সরকারের পদক্ষেপের কারণে আমাদের কারেন্ট একাউন্টের ফ্লো আবার স্বাভাবিক হয়েছে। যার ফলে এলসি খোলা নিয়ে যে ঝামেলা ছিলো সেটা এখন নেই। আশা করা যায় খুব শীগ্রই রিজার্ভ বাড়তে শুরু করবে, আর ডলারের দাম কমবে। আস্তে আস্তে আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। জিনিসপত্রের দাম কমে আসলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। লিকিউডিটি ক্রাইসিসেরই সব থেকে নেতিবাচক চাপ পড়েছিলো আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বন্ড, ট্রেজারী বিল এগুলো নিরাপদ প্রোডাক্ট। কিন্তু এগুলোতে কেন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছে না? এগুলাতে মানুষের ঝোঁক কম এবং বিনিয়োগও কম। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা সরকারের তহবিলে দিয়েছি। বন্ড মার্কেট এখন অর্থনীতিতে ভালো মতো ফান্ড দিচ্ছে । গারানকোর মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের অনেক বন্ডকে গ্যারান্টি দিয়েছে।

ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রাফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএস পারভেজ তমাল, অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের (এএএমসিএমএফ) চেয়ারম্যান হাসান ইমাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মূল-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরএফ সদস্য মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন। (বাসস)