‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় জেলায় নিহত ১১

ছবি : ইন্টারনেট

সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (২১ মে) মধ্যরাতে ও মঙ্গলবার (২২ মে) ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে কুমিল্লায় ২ জন, নীলফামারীতে ২ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১ জন,  নারায়ণগঞ্জে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন ও নেত্রকোনায় ১ জন, ফেনীতে ১ জনও দিনাজপুরে ১ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, শরীফ (২৬) ও পিয়ার আলী (২৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমারসহ ৫ জন।

সোমবার (২১ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১টার নগরীর বিবিরবাজার অরণ্যপুর (বাজগড্ডা) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, একটি পাজেরো জিপ, ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত শরীফের বিরুদ্ধে  ৫টিও পিয়ার আলীর বিরুদ্ধে ১৩টি মাদকের মামলা রয়েছে।

সোমবার (২১ মে) দিবাগত রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে  নিহত হয়েছেন মাদক ব্যবসায়ী মো. জনি হোসেন (২৭) ও শাহিন আহমেদ (৩০)।

অভিযান চলাকালে আহত হয়েছেন ৪ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, দেশীয় অস্ত্র , ইয়াবা এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।

র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুর আলী (৪৩)। নগরের বায়োজিদ থানার ডেবারপাড় এলাকায় সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও ৬টি মাদক মামলার আসামী কামরুজ্জামান সাধু (৪৫)।

সোমবার (২১ মে) রাত ২টার দিকে শহরের রেলস্টেশনের পেছনে এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১ বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মঙ্গলবার (২২ মে) ভোরে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু খান (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় র‍্যাব তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারে গেলে বাচ্চুসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ও র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু নিহত হয় এবং বাকি দুজন পালিয়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ধন মিয়া (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ধন মিয়া মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

নেত্রকোণায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মঙ্গলবার (২২ মে) ভোরে আমজাদ নামে এক অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ সময় সদর থানার ওসিসহ আরও ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ফেনীতে র‍্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মঞ্জুরুল আলম নামে তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল ও গুলি। এর আগে ২০১৫ সালেও একবার ৫ লাখ পিস ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছিল মঞ্জুরুল।

এদিকে দিনাজপুরের বিরামপুরে এক মাদক ব্যবসায়ী বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

রাসেল/