বাঁচানো গেলো না সেই শিশুটিকে

সবার মনে আশার আলো ফুটিয়েও অবশেষে সবাইকে নিরাশার অন্ধকারে ডুবিয়ে চলে গেল আজিমপুরে কবর দেয়ার সময় জেগে ওঠা সেই শিশুটি। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশুটি।

এর আগে গত সোমবার মৃত ঘোষণার পর কবর দেয়ার আগে নড়েচড়ে ওঠে নবজাতক। এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে। এদিকে মৃত্যু সনদ দেয়ার পরও ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনাটি তাদের হাসপাতালের নয়।

শারমিন আক্তার, গর্ভের সন্তান স্বাভাবিক অবস্থায় নেই টের পেয়ে রোববার মধ্যরাতে চিকিৎসা নিতে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু আলট্রাসনোগ্রামে গর্ভে সন্তানের অবস্থান দেখে চিকিৎসক জানিয়ে দেন সন্তানটি জীবিত নেই। প্রসূতি মাকে বাঁচাতে সন্তানটিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বের করতে হবে।

অবশেষে ভূমিষ্ট হয় নবজাতক। মৃত ধারণা করে নবজাতকটি আসলেই মৃত কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও দেখেন চিকিৎসক। এরপর নিশ্চিত হন নবজাতকটি মৃত। এরপর দেন মৃত্যু সনদও। মা ডাক শুনার অপেক্ষা, অপেক্ষা হয়েই থাকলো শারমিনের। নীরবে নিভৃতে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁদছেন তিনি।

হুজুর বলেন, যে ভদ্রমহিলা গোসল দেন সে ফোন দিলো। ফোন দিয়ে বললো বাচ্চাতো জীবিত। বাচ্চার আত্মীয় কোথায়? সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নেওয়া হয় আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালে। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবজাতককে রাখা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে।

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো শিশুটি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্বজন ও সাধারণ মানুষ।

এস/