বাঁচানো যায়নি রুহিকে

রাজধানী মিরপুরের পল্লবীর এক বাসায় পানির রিজার্ভ ট্যাংকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫জনের মধ্যে ৩ বছরের শিশু রুহিকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহির মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শিশুটির শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর ডি ব্লকের ১৯ নম্বর রোডের ওই বাড়ির গ্যারেজে রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কারের সময় জমে থাকা গ্যাসে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই ভবন মালিক ইয়াকুব আলী (৭০), তার স্ত্রী হাসিন আরা খানম (৬০), তাদের ভাড়াটিয়া ইয়াসমিন আক্তার (৩৫) এবং ইয়াসমিনের মেয়ে রুহি এবং হাসান (৩২) নামের এক শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা।

ওই বাড়ির চতুর্থ তলার এক বাসিন্দা জানান, ট্যাংকটি পরিষ্কার করার জন্য শ্রমিক হাসানকে আনা হয়েছিল। সে যখন ঢাকনা খুলে বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে দেখছিল, তখন বিদ্যুৎ চলে যায়।

পরে হাসান মোম জ্বালিয়ে ট্যাংকের ভেতরে উঁকি দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। ঢাকানা উড়ে গিয়ে আগুনের হলকা বেরিয়ে এলে ট্যাংক পরিষ্কারের কাজ দেখার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যরাও দগ্ধ হন।

চিকিৎসাধীন বাকি চারজনের মধ্যে হাসিন আরা খনমের শরীর ৯৫ শতাংশ এবং হাসানের শরীর ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এস/