বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক হস্তান্তর ভারতের

মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনাদের পরাস্ত করতে যৌথবাহিনীর অংশ হিসেবে ভারতীর সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করেছিল উভচর ট্যাংক। আর আকাশ পথে দ্রুত শত্রু ঘায়েল করতে ব্যবহার হয়েছিল এমআই-৪ হেলিকপ্টার। আজ বুধবার মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত এ স্মারক দুটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে আয়োজিত এক হৃদ্যতাপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি স্মারক দুটি হস্তান্তর করেন। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক উপহার দেন।

পিটি-৭৬ মডেলের ট্যাংক দুটি গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল নাজিম উদ্দিন। আর এমআই-৪ মডেলের কপ্টারটি গ্রহণ করেন সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবুল বাশার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক উপহার দেন। স্মারকগুলোর মধ্যে ছিল- দুটি পিটি-৭৬ ট্যাংক, একটি এমআই-৪ হেলিকপ্টার ও ২৫টি অস্ত্র (পিস্তল, রাইফেল, মেশিন গান, মর্টার, রকেট লঞ্চার)। এছাড়া অনেক শিল্পকর্ম, ঐতিহাসিক ফটো, অডিও-ভিডিও ক্লিপিং, মানচিত্র, যুদ্ধের দলিল, পত্রিকার ক্লিপিং, মু্ক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্রও ছিল স্মারক উপহারের মধ্যে।

শ্রিংলা বলেন, অধিকাংশ স্মারক বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন ট্যাংক ও কপ্টারের মতো বড় স্মারকগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলো। এগুলো তাদের নিজ নিজ জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।

বড় দুটি স্মারকের ব্যাখা দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন বলেন, পিটি-৭৬ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীল আর্মার্ড রেজিমেন্টের হালকা ধরনের উভচর ট্যাংক। যুদ্ধের সময় নদী ও জলাশয় পারাপারে এই ট্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

গরিবপুরের বিখ্যাত যুদ্ধে এই ট্যাংকগুলোর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। যে যুদ্ধে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এম-৩৪ শ্যাফে ট্যাংকসমৃদ্ধ পাকবাহিনীর একটি বড় দল পরাজিত হয়েছিল।

এস/