বাংলাদেশে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শাফের

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘকালীন অংশীদারিত্ব সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশ সফরের এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শাফের।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি। খবর ইউএনবি’র।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণ সংস্থা জানায়, চলতি বছরের ১ জুলাই দায়িত্বগ্রহণের পর এটি শাফেরের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

শাফের বলেন, ‘খুব কম সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য অবস্থা অর্ধেক কাটিয়ে উঠতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের উদ্ভাবন এবং সাফল্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আমি আমাদের অংশীদারদের সাথে দেখা করতে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের সাফল্য সরাসরি পরিদর্শন করতে এখানে এসেছি।’

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, নিজেদের নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মহান উদারতা দেখিয়েছে। রোহিঙ্গারা নিরাপদে মিয়ানমারের ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তাদের চাহিদা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। একই সাথে এই সংকট মোকাবেলায় দেশটির ক্ষমতা তৈরি করতেও সহায়তা করবে।

কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন শাফের। তিনি কক্সবাজারে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ সফরকালে অর্থমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রী, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের নেতাদের সাথে দেখা করবেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য অনুদান হিসেবে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সহায়তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।

‘দক্ষিণ এশিয়ার হটস্পট: তাপমাত্রার প্রভাব এবং জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন’ বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের নতুন একটি প্রতিবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শাফের।

তিনি বিশ্বব্যাংক সমর্থিত একটি প্রকল্প ঘুরে দেখবেন, যা ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করে বাড়িয়েছে।

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যোগ দেওয়ার আগে, শাফের গ্লোবাল থিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অপারেশনস পলিসি এন্ড কান্ট্রি সার্ভিসেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

তিনি বিশ্বব্যাংকের ক্রয়, পরিবেশগত ও সামাজিক সুরক্ষা, এবং ব্যাংকের ঋণদান সম্পর্কিত নতুন নীতিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের নেতৃত্ব দেন।

এর আগে শাফের জিবুতি, মিশর ও ইয়েমেনের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তথ্য-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ