বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। প্রতিবেশী হওয়া সত্বেও দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের তাগিদ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি শমী কায়সার ও পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাহবুবুল আলম বলেন,দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে আসছে। একসময় চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য হতো। কিন্তু বেশ কিছু কারনে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার কিছুটা কমে এসেছে। দুই দেশের সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। রোহিঙ্গা ক্রাইসিসিসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প,সিরামিক,পাট,চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানী করতে পারে। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানী করতে পারে বাংলাদেশ। এছাড়া এদেশের জ্বালানীর চাহিদা পূরণে মিয়ানমার এগিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে ৫টি দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, সেই ৫টি দেশের মধ্যে একটি হল মিয়ানমার। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মিয়ানমার আগ্রহী বলেও জানান তিনি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। (বাসস)