বাটলার ঝড়ে সিরিজ ইংল্যান্ড এর

অ্যাশেযে নাকানিচুবানি খাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া এর বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংলিশরা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩য় ওয়ানডে ১৬ রানে জিতে ইংল্যান্ড দুইম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে সিরিজ।

জস বাটলারের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর ক্রিস ওকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় পায় তারা। ১৮৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ইংলিশদের ৩০০ এর কোটা পার করান এই দুইজন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৩ রানের জুটিতে ৫০ ওভারে ৩০২ রানের স্কোর করে ইংল্যান্ড।

বাটলার শুরুতে ছিলেন সাবধানী। বল প্রতি রান করেছেন এর পরও। অর্ধশতক করেন ৫২ বলে। শেষ দিকে তার ব্যাট হয়ে ওঠে উত্তাল। আরেক পাশে ঝড় তোলেন ওকস। ইনিংসের শেষ বলে দুই রান নিয়ে বাটলার স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ৩১ বলে পরের পঞ্চাশ করে বাটলারের সেঞ্চুরি ৮৩ বলে। তার পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৩ ওকস। দুজনের ঝড়ে শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ১০২ রান। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ২৩ রান দেওয়া প্যাট কামিন্সের শেষ ৩ ওভার থেকে আসে ৪৪ রান।

রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া আবার শুরুতে হারায় ডেভিড ওয়ার্নারকে। তিনে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি ক্যামেরন হোয়াইট।

অস্ট্রেলিয়া তবু ছিল ঠিক পথেই। কারণ আবারও দারুণ খেলছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিনও পেরিয়ে যান পঞ্চাশ। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে তার জুটি জমে যায়। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাত্র ৮ বল করেই লিয়াম প্লাঙ্কেট মাঠ ছাড়ায় আরও বিপাকে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।

তবে এদিন আর তিন অঙ্ক পর্যন্ত যেতে পারেননি ফিঞ্চ। ফেরেন ৫৩ বলে ৬২ রান করে। ভাঙে ৬৯ রানের জুটি।

চতুর্থ উইকেটে আরও একটি জুটি গড়ে ওঠে। এবার স্মিথের সঙ্গী মিচেল মার্শ। দুজনে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।

স্মিথ ছিলেন ভীষণ সাবধানী। প্রথম বাউন্ডারি মারেন ৬৩ বল খেলে! তবে তার বিদায় দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার পিছিয় পড়া শুরু। কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্তটি নিয়ে ছড়ায় উত্তেজনা। বাটলালের গ্লাভসে জমার আগে বল মাটি ছুঁয়েছে কিনা, জাগে এই প্রশ্ন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের সফট সিগন্যাল ছিল আউট, যেটি বদলানোর যথেষ্ট প্রমাণ পানি তৃতীয় আম্পায়ার। ৬৬ বলে ৪৫ করে ফেরেন স্মিথ।

খানিক পর ৫৫ রানে ফিরে যান মার্শও। অস্ট্রেলিয়ার আশা তবু ছিল বেঁচে। শেষ দিকে চেষ্টা করেছেন মার্কাস স্টয়নিস। কিন্তু আরেকপাশে ধুঁকেছেন টিম পেইন। সেটিই জয় থেকে দূরে ঠেলেছে অস্ট্রেলিয়াকে।

৪৩ বলে ৫৬ রান করে শেষ ওভারে আউট হন স্টয়নিস। আরেক পাশে ৩৫ বল খেলেও পেইন অপরাজিত থাকেন মাত্র ৩১ রানে। সেটির খেসারত দিতে হয় দলকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০২/৬ (বাটলার ১০০*,ওকস ৫৩*; হেইজেলউড ২/৫৮, মার্শ ১/১৪)।

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (ফিঞ্চ ৬২, স্টয়নিস ৫৬, পেইন ৩১*; উড ২/৪৬, ওকস ২/৫৭, রশিদ ২/৫১)

আজকের বাজার: সালি / ২১ জানুয়ারি ২০১৮